কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে ২০২১ সালের শুরুতে দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। বছরের প্রথমার্ধে শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের দেখা পায় দেশটি। যদিও বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সে ধারা অব্যাহত থাকেনি। সরবরাহ ব্যবস্থায় বাধা, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, কর্মী সংকট ও কভিডের নতুন ধরন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে জেঁকে বসে। এ অবস্থায়ও দেশটির খুচরা বিক্রি অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। নভেন্বর ও ডিসেন্বরে দেশটির খুচরা বিক্রি ৮৮ হাজার ৬৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

গতকাল ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন (এনআরএফ) জানিয়েছে, ই-কমার্সসহ নভেম্বর ও ডিসেম্বরে খুচরা বিক্রি আগের বছরের চেয়ে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা সর্বশেষ ১১ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এ প্রবৃদ্ধি গত পাঁচ বছরে গড় বৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪ শতাংশের চেয়েও তিন গুণ বেশি।

গ্রাহকরা দোকানগুলোয় ফিরে আসায় ও অনলাইনে আরো ব্যয় করতে উৎসাহিত হওয়ায় ছুটির মৌসুমে বিক্রি বেড়েছে। যদিও নতুন করে কভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা গুরুত্বপূর্ণ কেনাকাটার মৌসুম ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিল।

এনআরএফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথিউ শে একটি বিবৃতিতে বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, শ্রম ঘাটতি ও ওমিক্রনের সংক্রমণের মতো বাধা সত্ত্বেও মহামারীক্লান্ত ভোক্তারা ছুটির মৌসুমে বিপুল পরিমাণ ব্যয় করেছে। উচ্চ মজুরি, ভালো পারিচারিক সঞ্চয় ও অন্য কার্যক্রমে ব্যয়সংকোচনের কারণে মার্কিন ক্রেতারা পোশাক ও খেলাধুলার সামগ্রী থেকে আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকস সবকিছুর জন্য ব্যয় বাড়িয়েছে।

বণিক বার্তা