বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নেয়া হয়েছে জিরো টলারেন্স নীতি। সংক্রমণ এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, এ নীতি পর্যালোচনার সময় এসেছে। তা না হলে চীনের এ কঠোর নীতি গোটা বিশ্বের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। দ্য গার্ডিয়ান।

আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, এটা প্রমাণ হয়েছে যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে কম ক্ষতিকর। ফলে চীনের উচিত এখন লকডাউন শিথিল করে দেয়া। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক ভার্চুয়াল প্যানেলে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, একটা লম্বা সময় ধরে চীন কঠোর লকডাউন দিয়ে রেখেছে। এ বিধিনিষেধ এখন চীন ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে হেনান প্রদেশে নতুন করে ৮৭ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। এর পর থেকে সেখানকার লাখো মানুষকে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় রাখা হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে আরো বেশকিছু প্রদেশের মানুষ লকডাউনের আওতায় এসেছে। জর্জিয়েভা বলছেন, এমনিতেই মহামারীর কারণে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি তুলনামূলক মন্থর। তার ওপর নতুন করে বিধিনিষেধ জারি রাখলে ভোক্তা ব্যয়ের ওপরও তা প্রভাব ফেলতে শুরু করে।


বণিক বার্তা