অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন সক্ষমতা বাড়াতে চায় সৌদি আরব। ২০২৭ সালের মধ্যে দৈনিক প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল সক্ষমতায় উত্তোলন করার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। এর আগে উত্তোলন সক্ষমতার লক্ষ্য ছিল দৈনিক ১ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেল। খবর আরঘাস মিডিয়া।

রিয়াদ জানায়, বর্তমানে দেশটির দৈনিক ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল উত্তোলন সক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে উত্তোলন করা হয় রেকর্ড দৈনিক ১ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ব্যারেল।

তথ্য বলছে, জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর মিত্র জোট ওপেক প্লাস উত্তোলন সীমিত হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকেই রাশিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। দুই দেশই পাল্লা দিয়ে উত্তোলন বাড়াচ্ছে।

চলতি মাসেও সীমিত আকারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন নীতিতে অটল ওপেক প্লাস। সম্প্র্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটটি। জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোটটি তাদের বিদ্যমান লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়মিতভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। এছাড়া সীমিত উত্তোলনের কারণে শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশগুলোয়ও সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে ক্রমেই বাড়ছে জ্বালানি পণ্যটির দাম।

ওপেকের মিত্র দেশগুলো নিয়ে গঠিত জোটটি ওপেক প্লাস নামে পরিচিত। বৈশ্বিক জ্বালানি তেল সরবরাহের ৪০ শতাংশই উত্তোলন করে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এ জোট। মহামারীর কারণে সৃষ্ট সরবরাহ সংকট কাটাতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও বেশ কয়েকটি দেশ জোটটিকে উত্তোলন বাড়ানো আহ্বান জানায়। কিন্তু এসব আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বিদ্যমান নীতিতেই অটল জোটটি।


বর্তমানে ওপেক প্লাস প্রতি মাসে দৈনিক চার লাখ ব্যারেল উত্তোলন বাড়ানোর নীতি অনুসরণ করছে। জোটটি দাম বাড়ার পেছনে ব্যবহারকারী দেশগুলোকে দায়ী করছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে স্থানান্তরের কারণে শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে।

বণিক বার্তা