কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে পুনরুদ্ধার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। দ্রুতগতিতে বেড়েছে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। বিধিনিষেধ শিথিলের পর তৈরি হয় তুমুল ভোক্তা চাহিদা। পাশাপাশি সরকারের দেয়া বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা বাড়িয়ে দিয়েছে ভোক্তা ব্যয়। এ অবস্থায় চাহিদা মোকাবেলায় বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করতে হয়েছে ওয়াশিংটনকে। ফলে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল প্রকাশিত বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে মহামারীতে মার্কিন ভোক্তা ব্যয় পরিষেবা থেকে পণ্যে স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিকে তুলে ধরেছে। বিশ্বজুড়ে চলমান সরবরাহ ব্যবস্থার বাধার মধ্যে চলতি বছর এ বাণিজ্য ঘাটতি বেশি সংকুচিত হওয়ারও সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক ওয়েলস ফার্গোর একজন সিনিয়র অর্থনীতিবিদ টিম কুইনল্যান বলেন, বর্তমানে কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা পণ্য থেকে পরিষেবায় ফিরে আসছে। তবুও চাহিদা মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি শক্তিশালী থাকবে। যদি অভ্যন্তরীণ চাহিদা কিছুটা শিথিল হয় এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অব্যাহত থাকে তবেই আমরা বাণিজ্য ঘাটতি কমার আশা করতে পারি।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, ২০২১ সালে বাণিজ্য ঘাটতি সর্বকালের সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার ৯১০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। বাণিজ্য ঘাটতির এ পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৭ হাজার ৬৭০ কোটি ডলার। বাণিজ্য ঘাটতির এ পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক ৭ শতাংশের সমান। ২০২০ সালে এ হার ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ।

বণিক বার্তা