ইতিহাস ও ঐতিহ্য ঘেরা এক জেলা হলো মুন্সিগঞ্জ। সেখানে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান আছে। যারা মুন্সিগঞ্জ ভ্রমণে যেতে চান, তারা চাইলে একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন সেখানকার বিভিন্ন স্থান থেকে। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলা।
জগদীশ চন্দ্র বসুর বসতবাড়ি: সেখানেই আছে জগদীশ চন্দ্র বসুর পৈতৃক বসতবাড়ি। যেটি এখন জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্স হিসেবে পরিচিত। প্রায় ৩০ একর আয়তনের এই বাড়িতে অসংখ্য বৃক্ষরাজির ছায়াময় প্রকৃতির মাঝে বিভিন্ন পশুপাখির ম্যুরাল, কৃত্রিম পাহাড়-ঝরনা, শান বাঁধানো পুকুর ঘাট আছে।
ভাগ্যকুলের মিষ্টি: মুন্সিগঞ্জে যাবেন অথচ বিখ্যাত ভাগ্যকুলের মিষ্টি খাবেন না, তা কি হয়! মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল বাজার সুস্বাদু মিষ্টি ও ঘোলের জন্য পুরো বাংলাদেশেই সুপরিচিত। আদি ও আসল স্বাদের সন্দেশ, ছানা, চমচমের মতো বিভিন্ন মিষ্টান্ন খেতে চাইলে ভাগ্যকুল এক স্বর্গীয় স্থান।
ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি: মিষ্টির দোকা থেকে এবার রওনা হয়ে যান ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ির দিকে। বর্তমানে এটি বিক্রমপুর জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। জমিদার যদুনাথ রায় আনুমানিক ১৯০০ সালে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামে ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন।
কীভাবে যাবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1143457712.jpg[/IMG]
ঢাকার গোলাপ শাহ মাজারের কাছ থেকে ঢাকা-দোহার রুটে চলাচলকারী বাসে চড়ে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের রাড়িখাল তিন দোকানের সামনে নামবেন। সেখান থেকে রিকশা ভাড়া করে জগদীশ চন্দ্র বসু কমপ্লেক্স যাওয়া যায়। আবার সেখান থেকে রিকশা বা অটোতে সহজেই যেতে পারবেন ভাগ্যকুল বাজার ও ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি। যেখানে কি না বর্তমানে গড়ে উঠেছে বিক্রমপুর জাদুঘর।