কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছে বৈশ্বিক করপোরেট জগৎ। মহামারীজনিত লোকসান শেষে রেকর্ড মুনাফায় ফিরেছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বিধিনিষেধ শেষে তুমুল ভোক্তা চাহিদা সংস্থাগুলোকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে। তবে এ পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান রয়েছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। কয়েক দশকের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও সংস্থাগুলো এ চাপ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। কিছু বিশ্লেষক বলছেন, মূল্যস্ফীতিকে প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

মার্কিন গণমাধ্যম ভক্স নিউজের খবর অনুযায়ী, ২০২১ সালে স্টারবাকসের মুনাফা বেড়েছে ২১ শতাংশ। এ অবস্থায়ও যুক্তরাষ্ট্রের কফি চেইনটি দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। মাংস প্রস্তুতকারক টাইসন ফুডস সামগ্রিকভাবে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে। এর পরই সংস্থাটির শেয়ারদর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। কেবল স্টারবাকস ও টাইসন ফুডস নয়। বিশ্বজুড়ে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানটি কাঁচামাল, শ্রম ও পরিবহনের উচ্চব্যয় মোকাবেলার কথা বলে পণ্যে দাম বাড়াচ্ছে।

এদিকে জানুয়ারিতে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির হার চার দশকের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। মৌসুমে সমন্বয়ের আগে ভোক্তা মূল্যসূচক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। পেট্রলসহ জ্বালানি পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও চিকিৎসা সেবা, পোশাক, খাদ্য ও বাড়িসহ প্রতিটি খাতের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। ফলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার ১৯৮২ সালের পর সর্বোচ্চে।

বণিক বার্তা