মহামারীর বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে আগেভাগে পুনরুদ্ধার হয় চীন। ২০২০ সালের শেষ দিকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দেশটির অর্থনীতি। এরপর গত বছরের প্রথমার্ধে রেকর্ড প্রবৃদ্ধির দেখা পায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। যদিও বছরের শেষ দিকে ধীর হয় প্রবৃদ্ধির গতি। এর মধ্যে বর্তমানে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে শঙ্কা তৈরি করেছে। এ অবস্থায় মন্দা ঠেকাতে বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে এনেছে চীন। নতুন লক্ষ্যমাত্রা দেশটির গত তিন দশকেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। খবর এপি।

গতকাল ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি চলতি বছর প্রায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। এ প্রবৃদ্ধির হার গত বছরের ৮ দশমিক ১ শতাংশ সম্প্রসারণের চেয়ে অনেক কম। দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং আইনসভার বার্ষিক বৈঠকে নতুন এ পূর্বাভাস দেন। প্রবৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার পেছনে তিনি ক্রমবর্ধমান পণ্যের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন। যদিও তিনি পণ্যমূল্য বাড়ার কারণ উল্লেখ করেননি। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। মিত্র দেশের পক্ষে দাঁড়ানোয় বিষয়টি এড়িয়ে গেছে বেইজিং।

মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে অর্থনীতি স্থবির হয়ে যাওয়ায় ২০২০ সালে কোনো প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়নি। গত বছরও লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশের উপরে ছিল। তবে ১৯৯০ সালের পর এবারই প্রথম চলতি বছরের জন্য প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশের নিচে নামানো হলো।

ভূরাজনৈতিক এ উত্তেজনার মধ্যে সাড়ে ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাওয়াই কঠিন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। লি কেকিয়াংও একই কথা জানান। ন্যাশনাল কংগ্রেসের উদ্বোধনী ৫৫ মিনিটের বক্তব্যে লি কেকিয়াং বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে। রাষ্ট্রীয় ভবন কেন্দ্রীয় বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বণিক বার্তা