জেন্ডার সমতায় বিশ্ব বেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিজুড়ে বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ। নেতৃত্ব পর্যায়ে তাদের অবস্থান ঊর্ধ্বমুখী। যদিও সেগুলো এখনো স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সিটি গ্রুপের নতুন একটি বিশ্লেষণ অনুসারে, নারীরা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল তহবিলের ছোট একটি অংশ পান। বিনিয়োগে এমন জেন্ডার ব্যবধান বন্ধ করতে পারলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লম্ফন দেখা দিতে পারে। খবর সিএনবিসি।

বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পিচবুক অনুসারে, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল তহবিলের মাত্র ২ দশমিক ১ শতাংশ পেয়েছে নারী প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো। সিটির গবেষণা বিভাগের বৈশ্বিক প্রধান অ্যান্ড্রু পিট প্রতিবেদনটিতে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো অর্থায়নের অভাব।

সিটির বিশ্লেষণ অনুসারে, ব্যবসায়িক বিনিয়োগে জেন্ডার সমতা অর্জন বিশ্বজুড়ে মোট দেশজ উৎপাদনকে (জিডিপি) ২-৩ শতাংশ বাড়িয়ে তুলতে পারে। অর্থের হিসাবে এটি ২ লাখ কোটি ডলার। পাশাপাশি জেন্ডার সমতা বিশ্বজুড়ে ২৮ কোটি ৮০ লাখ থেকে ৪৩ কোটি ৩০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে।

উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো ভেঞ্চার ক্যাপিটাল (ভিসি)। স্ট্যানফোর্ড বিজনেসের ২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত পাবলিক কোম্পানিগুলো ৪৩ শতাংশই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সমর্থিত। নারীদের এ তহবিল পাওয়ার সম্ভাবনা কম হওয়ার কারণগুলোও উঠে এসেছে সিটির সমীক্ষায়। ঋণদাতারা প্রায়ই নারী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের ঝুঁকিকে অতিরিক্ত মূল্যায়ন করে। ঝুঁকির ধারণাটি আসে যখন বিভিন্ন তথ্যে বলা হয় যে নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসাগুলো পুরুষ নেতৃত্বাধীনের চেয়ে বিনিয়োগে ভালো রিটার্ন দেয়। যদিও এ তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মার্কিন ব্যবস্থাপনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (বিসিজি) প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতি ১ ডলার বিনিয়োগের বিপরীতে নারী মালিকানাধীন স্টার্টআপগুলো ৭৮ সেন্ট এবং পুরুষ মালিকানাধীন স্টার্টআপগুলো ৩১ সেন্ট আয় করে।

বণিক বার্তা