আন্তঃসীমান্ত তথ্য আদান-প্রদান কার্যক্রম কাঠামোর অংশ হিসেবে নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চুক্তিতে মেটা ও গুগলের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর জন্য কিছু সুবিধা রাখা হয়েছে। খবর সিএনবিসি।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আটলান্টিকের দুই পাশের দেশ প্রাইভেসি শিল্ড প্রতিস্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে ইউরোপীয় ফার্মগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে।

২০২০ সালের জুলাইয়ে প্রাইভেসি শিল্ড অকার্যকর হয়ে পড়ে। মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য আদান-প্রদানে ফেসবুক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যে পদ্ধতি ব্যবহার করত, সেখানে প্রভাব বিস্তার করায় প্রতিষ্ঠানগুলো এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত অস্ট্রিয়ান প্রাইভেসি অ্যাক্টিভিস্ট ম্যাক্স স্ক্রেমসের পাশে দাঁড়ান। যুক্তিতর্কে ম্যাক্স জানিয়েছিলেন, বর্তমানে যে ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি থেকে ইউরোপের অধিবাসীদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে জানান, ব্যক্তি নিরাপত্তা, তথ্যের সুরক্ষা ও আইনের কার্যকারিতার বিষয়ে আমাদের যে অঙ্গীকার, ফ্রেমওয়ার্কটি সে বিষয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব হলে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ৭ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

বণিক বার্তা