ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) ৩১ সদস্য দেশ মার্চের শুরুতে জরুরি মজুদ থেকে সব মিলিয়ে ৬ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বাজারে সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছিল। এ পদক্ষেপের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা।

আইইএর মন্ত্রীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তা বৈশ্বিক জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি বয়ে আনবে। তবে দেশগুলোর প্রতিনিধিরা রাশিয়ার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রতিও সমর্থন জানান।

ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির আপত্কালীন মজুদ থেকে ৬ কোটি ১৭ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল সরবরাহের সিদ্ধান্ত বাজারে স্থিতি ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে। এমন দাবি করেছে অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ এবং এর মিত্র দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। বৃহস্পতিবার এক বৈঠক চলাকালে জোটটি এ কথা জানায়।

এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বিশ্ব অর্থনীতি বড় রকমের ধাক্কা খাবে বলে সতর্ক করেছিল ওপেক প্লাস। এক প্রতিবেদনে জোটটি জানায়, শুধু ইউরোপেই নয়, বরং সারা বিশ্বের জ্বালানি তেলের ব্যবহারকারী ও বাণিজ্যিক মনোভাব হ্রাস পেতে পারে। যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।

এদিকে জ্বালানি বাজারে চলমান অস্থিতিশীলতা নিরসনে নতুন করে কৌশলগত মজুদ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ১৮ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হবে। এটিই হতে যাচ্ছে গত ৫০ বছরের ইতিহাসে কৌশলগত মজুদ থেকে সর্বাধিক সরবরাহ। মজুদ উন্মুক্ত করার খবরে বৃহস্পতিবার ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম ৫ ডলারেরও বেশি কমে যায়।

বণিক বার্তা