বৈশ্বিক স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর (এপি) বাজার গত বছর ২৩ শতাংশ সম্প্রসারিত হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০ কোটি ডলার। সম্প্রতি প্রকাশিত স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিকসের হ্যান্ডসেট কম্পোনেন্ট টেকনোলজিস (এইচসিটি) সার্ভিস প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। স্মার্টফোন এপিতে ৩৮ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে শীর্ষে রয়েছে কোয়ালকম। ২৬ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে তার পরই রয়েছে মিডিয়াটেক ও অ্যাপল।

স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিকস বলছে, ২০২১ সালে অ্যাপল, মিডিয়াটেক, কোয়ালকম ও ইউনিসকের বাজার হিস্যা বেড়েছে। তবে বাজার হিস্যা কমেছে হাইসিলিকন ও স্যামসাং এলএসআইয়ের। ফাইভজি-অ্যাটাচড এপি রফতানি বছরওয়ারি ৮৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে রফতানীকৃত মোট স্মার্টফোন এপির ৪৬ শতাংশ ছিল ফাইভজি-অ্যাটাচড এপি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ইঞ্জিন-সংবলিত অন-ডিভাইস এপি রফতানি গত বছর ৯০ কোটি ছাড়িয়েছে। সর্বোচ্চ বিক্রীত অ্যান্ড্রয়েড এআই এপির মধ্যে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮/৮৮৮ প্লাস, ৭৬৫/জি, ৭৫০জি এবং ৬৬২ ও ডাইমেনসিটি ৭০০। ২০২১ সালে উৎপাদিত প্রতি চারটি স্মার্টফোন এপির তিনটিই করেছে টিএসএমসি। সরবরাহ সংকট সত্ত্বেও টিএসএমসি ও স্যামসাং ফাউন্ড্রির মতো প্রতিষ্ঠান সেমিকন্ডাক্টর ফাউন্ড্রি সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।

গত বছর রফতানীকৃত মোট এপির ৪৩ শতাংশ ছিল সাত ন্যানোমিটার কিংবা তার কমের এপি। গত বছর পিক্সেল টেনসর চিপ নিয়ে স্মার্টফোন এপি বাজারে প্রবেশ করেছে গুগল। অবশ্য অ্যালফাবেট মালিকানাধীন প্রযুক্তি জায়ান্টটির বাজার হিস্যা মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ।

এদিকে গত বছর স্যামসাং এলএসআইয়ের এপি রফতানি কমেছে। তাদের প্রধান গ্রাহক স্যামসাং মোবাইল কোয়ালকম, মিডিয়াটেক ও ইউনিসকের দিকে হাত বাড়ানোয় এপির বিক্রি কমেছে। এতে গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো স্যামসাং এপি রফতানি ১০ কোটির নিচে নেমে এসেছে। ২০২২ সালে মধ্যম স্তরের ফাইভজি এপি এক্সিনোজ ১২৮০ বাজারে আনার মাধ্যমে বাজার হিস্যা পুনরুদ্ধার করতে পারে স্যামসাং।

বণিক বার্তা