কয়েক মাস ধরে ডলারের বিপরীতে নিম্নমুখী রয়েছে ইয়েনের মান। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ঘটনায় অস্থিতিশীল রয়েছে জ্বালানি তেলের বাজারও। উচ্চমূল্যের কারণে আমদানিতে আরো বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে জাপানকে। অন্যদিকে চীনে লকডাউনের কারণে দেশটিতে রফতানিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে গত মাসে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির বাণিজ্য ঘাটতি পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে। খবর এপি।

জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, মার্চে ৮ লাখ ৯০ হাজার কোটি ইয়েন (৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে জাপান। আমদানি ব্যয়ের এ পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। উচ্চ জ্বালানির দাম ও ডলারের বিপরীতে ইয়েনের অবমূল্যায়ন দেশটির আমদানি ব্যয় বাড়িয়ে তুলেছে। অন্যদিকে এ সময়ে ৮ লাখ ৪৬ হাজার কোটি ইয়েনের (৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) পণ্য রফতানি করেছে দেশটি। এ রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি।

এ নিয়ে গত মাসে জাপানের বাণিজ্য ঘাটতি ৪১ হাজার ২০০ কোটি ইয়েনে (৩২০ কোটি ডলার) পৌঁছেছে। বাণিজ্য ঘাটতির এ পরিমাণ আগের মাসের ৬৭ হাজার কোটি ইয়েনের চেয়ে কম হলেও অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের তুলনায় চার গুণ বেশি। যেখানে গত বছরের এ সময়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ৬১ হাজার ৫০০ কোটি ইয়েন বাণিজ্য উদ্বৃত্তের রেকর্ড করেছিল।


বণিক বার্তা