চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সংকোচনের মুখোমুখি হয়েছে জাপানের অর্থনীতি। ক্রমবর্ধমান দাম, কভিডজনিত বিধিনিষেধে ভোক্তা ব্যয় ও বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে দেশটির অর্থনীতি। আগের প্রান্তিকের তুলনায় এ সংকোচনের হার দশমিক ২ শতাংশ। খবর এপি।

গতকাল কেবিনেট অফিস জানিয়েছে, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি পরিমিত প্রবৃদ্ধি পেয়েছিল। যদিও তৃতীয় প্রান্তিকেও দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) সংকুচিত হয়েছিল।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন এরই মধ্যে জ্বালানি দাম রেকর্ড উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদে দরিদ্র জাপানের জন্য এটি বড় ব্যয়ের কারণ হয়েছে। তাছাড়া ডলারের বিপরীতে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দাম ক্রমহ্রাসমান রয়েছে। বর্তমান প্রতি ডলারের বিপরীতে প্রায় ১৩০ ইয়েন লেনদেন হচ্ছে। এ পরিস্থিতিও জাপানের আমদানিকে তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল করে তুলেছে।

জাপানে কখনো বিস্তৃত আকারে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়নি। তবে পর্যায়ক্রমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর আওতায় বেশির ভাগ রেস্তোরাঁ ও বারগুলোকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্ধ করতে বাধ্য করেছে। সর্বশেষ এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা গত মার্চে শেষ হয়েছে।


বণিক বার্তা