দীর্ঘ সময় কভিডজনিত বিধিনিষেধের ভেতর চীন। প্রায় আড়াই বছর ধরে জিরো কভিড নীতি অব্যাহত রেখেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এদেশ। সর্বশেষ মার্চের শেষদিকে দেশটিতে আবারো ঊর্ধ্বমুখী হয় কভিড সংক্রমণের গতি। বাণিজ্যনগরী সাংহাইসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোয় আরোপ হয়েছে লকডাউন। স্থবিরতার মুখে পড়ে শিল্পোৎপাদন খাত। ফলে এপ্রিলে দেশটির শিল্প খাতের মুনাফায় বড় ধরনের পতন হয়েছে। গত মাসে দেশটির এ খাতের মুনাফা এক বছর আগের তুলনায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চীনের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা এপ্রিলে দুই বছরের মধ্যে দ্রুততম গতিতে কমে গিয়েছে। কাঁচামালের উচ্চমূল্য এবং কভিডজনিত লকডাউন সরবরাহ চেইন বিঘ্ন হওয়ায় কারখানার কার্যক্রম কমে যায় এবং মুনাফা মার্জিন সংকুচিত হয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের (এনবিএস) তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, গত মাসে এ খাতের মুনাফা ৮ দশমিক ৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। যেখানে মার্চেও শিল্প খাতের মুনাফা ১২ দশমিক ২ শতাংশ প্রসারিত হয়েছিল। এপ্রিলে মুনাফা কমার হার ২০২০ সালের মার্চের পর সর্বোচ্চ।

এনবিএসের জ্যেষ্ঠ পরিসংখ্যানবিদ ঝু হং এক বিবৃতিতে বলেন, এপ্রিলে চীনজুড়ে ব্যাপক হারে কভিডের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরোপিত লকডাউন শিল্প সংস্থাগুলোর উৎপাদন ও কার্যক্রমে বড় ধাক্কা সৃষ্টি করে। এটি শিল্প খাতের মুনাফা কমিয়ে দিতে অবদান রেখেছে।

বণিক বার্তা