[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2032680726.jpg[/IMG]
হাইব্রিড টেকনোলজি হচ্ছে আগের সাধারণ ইঞ্জিন থেকে একটু বেটার এবং আধুনিক টেকনোলজি। মূলত হাইব্রিড গাড়িতে ইঞ্জিনের পাশাপাশি আলাদা একটা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি থাকে। যে ব্যাটারি থেকে ইঞ্জিনের মতোই পাওয়ার আসে। সাধারণ ইঞ্জিন থেকে সাধারণত ড্রাইভের সময় কিছু পাওয়ার লস হয়ে থাকে। হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে সে পাওয়ার দিয়েই ব্যাটারি চার্জ হয়। হাইব্রিড সিস্টেমে ব্রেক করলে,এক্সিলেটর প্রেস করলে ব্যাটারি চার্জ হয়।
▪️ হাইব্রিড মূলত দুইধরণের। একটা সাধারণ হাইব্রিড, আরেকটা হলো প্লাগ-ইন হাইব্রিড। প্লাগ-ইন হলো সাধারণ হাইব্রিডের তুলনায় আরেকটু বেটার টেকনোলজি। প্লাগইন হাইব্রিড সিস্টেমে আলাদাভাবে গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করা যায়।
▪️ হাইব্রিড গাড়ি থেকে ভিন্নরকম একটা ফিল পাওয়া যায়। গাড়ি যখন সম্পুর্ণ ব্যাটারি পাওয়ারে থাকে, তখন গাড়িতে কোনও আওয়াজ থেকে না। তখন একটা ইলেকট্রিক গাড়ির ভাইব পাবেন। এছাড়া যখন ব্যাটারি+ইঞ্জিন দুইটা থেকেই ইঞ্জিনে পাওয়ার আসে, তখন হাইব্রিড গাড়ি থেকে সাধারণ অন্য গাড়ির তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার পাওয়া যায়। হাইব্রিড গাড়ির সবচেয়ে গুরুতবপুর্ণ ব্যাপার হচ্ছে এর মাইলেজ! হাইব্রিড গাড়ি থেকে আপনি সাধারণ গাড়ির তুলনায় দেড়্গুন কিংবা দ্বিগুণ মাইলেজ পাবেন। যার কারণে হাইব্রিড গাড়ির জ্বালানি খরচ প্রায় অর্ধেক! এছাড়াও হাইব্রিড গাড়ির ইঞ্জিনে সাধারণ গাড়ির তুলনায় কম প্রেশার পরে যার কারণে ইঞ্জিন ভালো থাকে। হাইব্রিডে এসির ফাংশান সম্পূর্ণ ব্যাটারির উপর। যার কারণে ইঞ্জিনের উপর চাপ কম যায়।
▪️হাইব্রিড গাড়ি একটু মেইন্টেইন করে চলাইলে গাড়ি থেকে কোনও সমস্যা পাওয়া যায় না।তবে কিছু নিয়ম মেনে হাইব্রিড ব্যবহার করা লাগে। যেমন, ড্রাইভের সময় সবসময় এসি চালানো, ইন্টেরিয়র পরিষ্কার রাখা, সময় মতো ইঞ্জিন ওয়েল, ব্রেক ওয়েল চেঞ্জ করা ইত্যাদি। এই সর্তগুলা ঠিকমতো মেনে গাড়ি চালাইলে হাইব্রিড থেকে অনেক ভালো সার্ভিস পাওয়া যায়।
▪এছাড়াও বাংলাদেশে হাইব্রিড গাড়ির ইম্পোর্ট ট্যাক্স ননহাইব্রিড এর তুলনায় প্রায় ১ লাখ টাকা কম! যার কারণে আপনি হনহাইব্রিডের তুলনায় ১ লাখ টাকা কমদামে গাড়ি কিনতে পারছেন।
▪অনেকেই হাইব্রিডের ব্যাটারি নিয়ে চিন্তিত থাকেন। মনে করে থাকেন, হাইব্রিডের ব্যাটারি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কেও কেও তোহ সরাসরি হাইব্রিড কিনতেও নিষেধ করে । এই ব্যাপারে একটু বিস্তারিত বলি। টয়োটা হাইব্রিড বানানোর সময় ব্যাটারির সাথে ২ লাখ কিলোমিটার এর ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। সেইক্ষেত্রে একটু কমমাইলেজের গাড়ি কিনে একটু মেইন্টেইন করে ব্যবহার করলে অনায়াসেই ৬-৭ বছর হাইব্রিড ব্যাটারি নিশ্চিন্তে ভালো সার্ভিস দিবে। এরপর হয়তো একবার ব্যাটারি চেঞ্জ করা লাগতে পারে। বর্তমানে হাইব্রিড ব্যাটারির দাম ২ লাখ টাকার আশপাশে। আগামি ৫ বছর পর সেইটা হয়তো ১-১.৫ লাখ টাকায় পাওয়া যাবে।
▪️একটু চিন্তা করে দেখেন, আপনি একটা হাইব্রিড কিনলেন। কিনার সময়েই ১ লাখ টাকা কমদাম, ৬-৭ বছর সাধারন গাড়ির তুলনায় ১.৫-২ গুণ মাইলেজ, দুইরকমের ড্রাইভিং এক্সপেরিয়েন্স, পরিবেশ বান্ধব, ইলেক্ট্রিক গাড়ির ফিল পাচ্ছেন হাইব্রিড থেকে । এরপর হয়তো ১.৫ লাখ টাকায় ব্যাটারি চেঞ্জ করা লাগতে পারে।
▪️ঠান্ডা মাথায় একটু ক্যালকুলেশন করলে বুঝতে পারবেন হাইব্রিড থেকে কতো ভালো সার্ভিস পাওয়া যায়। বাংলাদেশের গাড়ি এক্সপার্টরাও হাইব্রিড কেনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বেশিরভাগ গাড়ির কোম্পানী আস্তেধীরে হাইব্রিড এবং ইলেকট্রিক গাড়ির দিকে রিসার্চ বাড়াচ্ছে এবং ননহাইব্রিডের প্রোডাকশন অফ করে দিচ্ছে। টয়োটার কথাই যদি বলি, টয়োটা ২০২৫ এর মধ্যেই ওদের সব গাড়ি হাইব্রিড করে ফেলবে। ননহাইব্রিড গাড়ির প্রোডাকশন আস্তেধীরে অফ করে দিচ্ছে অথবা হাইব্রিড ভ্যারিয়েন্ট বানাচ্ছে।