অফিস সফটওয়্যার বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য এখনো মাইক্রোসফটের। গুগলের মতো অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্টের জোর প্রয়াস এবং মহামারীর প্রভাব সত্ত্বেও বিল গেটস ও পল অ্যালেন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটির অবস্থান টলানো যায়নি। নতুন উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। ওয়ানপ্লাস পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলোর মধ্যে ৫৮ দশমিক ২০ শতাংশ মাইক্রোসফট ৩৬৫ ব্যবহার করছে। বিপরীতে নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী গুগল ওয়ার্কস্পেস ব্যবহার করছে ১৫ শতাংশ। এছাড়া ছোট প্রতিদ্বন্দ্বীগু োর অবস্থা তথৈবচ। জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ জহো ওয়ার্কস্পেস, পোলারিস অফিস ও লিব্রা অফিস ব্যবহার করে। মাইক্রোসফটের সফলতার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে বিভিন্ন অ্যাপ ও পরিষেবার মধ্যে সমন্বয়। মাইক্রোসফটের সফলতার গল্প শুরু হয় উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান র বিজনেস কম্পিউটারে থাকে এ অপারেটিং সিস্টেম।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/204393449.jpg[/IMG]
২০২০ সালে গুগল তার জি স্যুটকে ওয়ার্কস্পেসে রূপ দেয় এবং এ সফটওয়্যার ইউনিটে বিনিয়োগ বাড়াতে থাকে। গ্রাহক আকৃষ্টে তখন থেকে অসংখ্য আপগ্রেড ঘোষণা করে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টটি। মহামারী উত্তর হাইব্রিড কাজের সংস্কৃতিতে জায়গা করে নেয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। তবে সাম্প্রতিক জরিপে প্রাপ্ত উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, অ্যালফাবেটের এ প্রচেষ্টা কাঙ্ক্ষিত ফল বয়ে আনেনি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ার্কস্পেসসহ গুগলের ক্লাউড পরিষেবা ইউনিট থেকে আয় হয়েছে ৫০০ কোটি ডলার। বিপরীতে মাইক্রোসফটের প্রডাক্টিভিটি সেগমেন্ট থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।