কভিডজনিত বিধিনিষেধে নিম্নমুখী রয়েছে ভোক্তা আস্থা। কমে গিয়েছে বিনিয়োগের পরিমাণও। সংকোচনের মুখোমুখি হয়েছে শিল্পোৎপাদন খাত। সব মিলিয়ে জাপানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এরই মধ্যে চলতি বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় ধীর হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। যদিও খুচরা বিক্রি কিছুটা বেড়েছে এবং কমেছে বেকারত্বের হারও।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চীনে কভিডজনিত লকডাউন ও সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হওয়ায় বাণিজ্যনির্ভর জাপানের অর্থনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। নির্মাতারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির কারখানা কার্যক্রম এপ্রিলে ব্যাপকহারে সংকুচিত হয়েছে। যদিও কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল করায় গত মাসে দেশটির খুচরা বিক্রি বেড়েছে। তবে ক্রমবর্ধমান দাম চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও (জানুয়ারি-মার্চ) সংকুচিত হয়েছে জাপানের অর্থনীতি। ক্রমবর্ধমান দাম, কভিডজনিত বিধিনিষেধ এবং বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। আগের প্রান্তিকের তুলনায় এ সংকোচনের হার দশমিক ২ শতাংশ। এর আগে গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি কিছুটা বাড়লেও তৃতীয় প্রান্তিকে সংকুচিত হয়েছিল। আবার রয়টার্সের একটি জরিপে অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিল তার তুলনায় বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে খুব ধীর হবে প্রবৃদ্ধি। তারা চলতি বছরে জাপানের অর্থনীতি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন। যদিও গত এপ্রিলে ৫ দশমিক ১ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।

বণিক বার্তা