প্রযুক্তিবাজারে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে টেক্কা দিতে হলে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোকে টেক চ্যাম্পিয়ন বা নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রযুক্তি চ্যাম্পিয়নদের বিকাশের মাধ্যমে অঞ্চলটি ২০৩০ সাল নাগাদ উন্নত ডিজিটাল অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে। পাশাপাশি অঞ্চলটির জিডিপিতে ২৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার যুক্ত করতে পারবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। পিডব্লিউসি নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণাধীন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড মিডল ইস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

জিসিসি অঞ্চলের ডিজিটাল অর্থনীতি দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অঞ্চলটির মনোনিবেশ এখনো অনেক পুরনো। পাশাপাশি প্রযুক্তিবাজারে সমৃদ্ধতার দিক থেকে জিসিসি বিশ্বের অন্যান্য অংশের তুলনায় এখনো অনেক পিছিয়ে। স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড মিডল ইস্ট জানায়, জিসিসির প্রযুক্তি চ্যাম্পিয়নদের উত্থান বিদ্যমান দূরত্ব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেননা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি দেশে বা অঞ্চলে মেধাবীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ, বড় ধরনের বিনিয়োগ ও আমদানি-রফতানির ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়তা করে।

বিশ্বে ডিজিটাল অর্থনীতি আগের ধারার তুলনায় ছয় গুণ বেশি গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সুপারপাওয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রযুক্তি চ্যাম্পিয়নদের কারণে ডিজিটাল অর্থনীতিতে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের ৭০টি বড় ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশ দুটি বাজার মূলধনের ৯০ শতাংশ নিজেদের দখলে রেখেছে।


বণিক বার্তা