চার দশকের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ধীর হয়েছে ভোক্তা চাহিদা। ভাটা পড়েছে আমদানিতে। তবে বিশ্বজুড়ে চাহিদায় রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে রফতানি। ফলে সব মিলিয়ে নিম্নমুখী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি। এপ্রিলে পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্য ঘাটতি ১৯ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। যদিও উচ্চমূল্য ও মন্থর প্রবৃদ্ধি চলতি বছর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুসারে, এপ্রিলে আমদানি ও রফতানির ব্যবধান ৮ হাজার ৭১০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। বাণিজ্য ঘাটতির এ পরিমাণ আগের মাসের তুলনায় ১৯ দশমিক ১ শতাংশ কম। যেখানে মার্চে এ ঘাটতি ছিল রেকর্ড ১০ হাজার ৭৭০ কোটি ডলার।

এপ্রিলে ৩৩ হাজার ৯৭০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য ও পরিষেবা আমদানি করে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। আমদানির পরিমাণ আগের মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কম। গত বছরের জুলাইয়ের পর প্রথম সংকুচিত হলো দেশটির আমদানি।

আমদানি হ্রাস চীনে কভিডজনিত লকডাউনেরও ফলাফল হতে পারে। কারণ চীন থেকে আমদানি কমে ১ হাজার ১০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে বেইজিংয়ের সঙ্গে পণ্য বাণিজ্যের ব্যবধান ৩ হাজার ৪৯০ কোটি ডলারে নেমেছে। যেখানে মার্চে এ ব্যবধান ছিল ৪ হাজার ৩৪০ কোটি ডলার। এ সময়ে ভোগ্যপণ্য আমদানি ৬৩০ কোটি ডলার কমেছে। শিল্প সরবরাহ ও উপকরণ আমদানি কমেছে ৫৩০ কোটি ডলার। পাশাপাশি মূলধনি পণ্য ২৬০ কোটি ডলার এবং কম্পিউটার আমদানি কমেছে ১৯০ কোটি ডলার। তবে মোটরগাড়ি, যন্ত্রাংশ ও ইঞ্জিনের আমদানি ১৪০ কোটি ডলার বেড়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৩৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এ সময়ে খাদ্য আমদানিও রেকর্ড সর্বোচ্চ ছিল।

বণিক বার্তা