আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ছয় শতাংশ কমেছে, যা গত চার সপ্তাহের মধ্যে কম। এদিকে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়েছে। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কমছে তেলের চাহিদা। অন্যদিকে বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে ডলার। চলতি সপ্তাহে বেশ কিছু মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা ২০০২ সালের ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ। এতে তেল কেনার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। এ সময়ে ব্রেন্ট ক্রুডের মূল্য ব্যারেল প্রতি পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ বা ছয় দশমিক ৬৯ ডলার কমে ১১৩ দশমিক ১২ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থাৎ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) মূল্য ছয় দশমিক আট শতাংশ বা আট দশমিক শূন্য তিন শতাংশ কমে ১০৯ দশমিক ৫৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুডের এ মূল্য ২০ মের পর সর্বনিম্ন। অন্যদিকে ডব্লিউটিআয়ের মূল্য ১২ মের পর সর্বনিম্ন হয়েছে। তাছাড়া মে মাসের শুরুর দিকের চেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে দৈনিক শতাংশভিত্তিতে সর্বনিম্ন মূল্য। ডেটা ও অ্যানালিটিক্স ফার্ম ওএএনডিএ-এর সিনিয়র বাজার বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেছেন, ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে গেছে। এদিকে রাশিয়া তেলের রপ্তানি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/727977467.jpg[/IMG]