নভেল করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি থেকে যেন পুরোপুরি বের হতে পারছে না চীন। আবার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শূন্য কভিড নীতি নেয়ার ফলে বিভিন্ন ফার্ম ও কর্মীরা বিপদের মুখে পড়েছে। হঠাৎ দেয়া লকডাউন, কর্মক্ষেত্রে কার্যক্রম সীমিত করে আনা এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকটের কারণে বিক্রি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং এর কর্মীরা। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাঁটাই বেড়েছে; বেড়েছে চীনে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার সংখ্যাও। ২০২০ সালের পরে সবচেয়ে ভয়াবহ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে দেশটি। শহরে চাকরিবিহীন জনসংখ্যার হার গত দুই বছরের সর্বোচ্চে গিয়ে পৌঁছেছে। চাকরিবিহীন থাকার এ কষ্ট বড় থেকে ছোট সব পর্যায়ের কর্মীই উপলব্ধি করছেন।
বেশ কয়েক মাস অপ্রত্যাশিত করোনাভাইরাস নিষেধাজ্ঞার কারণে দেয়া কঠোর লকডাউন এবং তীব্র ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনের ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু সাংহাই থেকে উত্তরের খাবারের ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত জিজিন প্রদেশও প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে। চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের সার্ভে বলছে, জরিপে অংশ নেয়া সবাই তাদের রাজস্ব আয়ের পূর্বাভাস কমিয়েছে। যেখানে আরেকটি গবেষণায় ১১টি ইউরোপীয় ফার্ম বলেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নেয়া পদক্ষেপের জন্য তারা চীনে তাদের কার্যক্রম কমিয়ে দেবে। এমনকি দেশীয় কিছু প্রতিষ্ঠানও তাদের খরচাপাতি কমিয়ে দিচ্ছে। রাইডিং সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান কাওকাও চুক্সিংও বেশকিছু কর্মীকে কাজ ছাড়তে বলেছে, চীনের গণমাধ্যম বলছে সংখ্যাটা ৪০ শতাংশ। ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবাও তাদের বেশকিছু কর্মীকে কাজ ছেড়ে দিতে বলেছে। যে সময়ে অর্থনীতিতে কিছুটা ধীরগতি চলছে এবং সম্পদ ও প্রযুক্তি খাতে নিয়ন্ত্রণের কারণে বিভিন্ন খাত চাপের মধ্যে পড়েছে, ঠিক সে সময়ে শূন্য কভিড নীতির ফলে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা আরো বেশি চাপ সৃষ্টি করেছে। এমনই কিছু ঘটেছিল ২৭ বছর বয়সী বাইয়ের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে তার চাকরি চলে যায়। কারণ তারা চীনে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছিল। সে সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে চাকরি হারান তিনি। বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে চাকরিপ্রার্থীরা ২০০ জায়গায় আবেদন জানালে মাত্র তিন জায়গা থেকে ইন্টারভিউয়ের ডাক আসছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/758352477.jpg[/IMG]