দেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে আবারো বড় প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। এর মাধ্যমে অবকাঠামো খাতের প্রকল্পগুলোয় বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। যেহেতু চীনের অর্থনীতি মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাই চলতি বছরের বাকি ছয় মাস যেন বিনিয়োগের পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়ে, সেদিকেই লক্ষ রাখছে চীন। সম্প্রতি চীনের স্টেট কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেয়, অবকাঠামো খাতে ৪ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার প্রণোদনা দেয়া হবে। আর এ অর্থ আসবে ফাইন্যান্সিয়াল বন্ড বিক্রিসহ বিভিন্ন উপায়ে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সিনহুয়া এ খবর জানিয়েছে। এ অর্থ নতুন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হলে তার মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, কার্যকর বিনিয়োগ প্রসারিত হয় এবং ব্যয় সহজ হয়। আবার চীন যেন অর্থনীতিতে অতিরিক্ত প্রণোদনা না দেয় সে বিষয়টিও লক্ষ রাখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তাদের ঋণ এবং আমানতের মধ্যে সমন্বয় করতে পারে। চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব চায়নাকে ফাইন্যান্সিয়াল বন্ড খাতে তহবিল বৃদ্ধিসহ অন্যান্যভাবে সহায়তা করার এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে দ্য পিপলস ব্যাংক অব চায়না। প্রকল্পগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ও করা হচ্ছে। বলা হয়, একটি দেশের অর্থনীতি কত দ্রুত এগোবে তা যেসব সূচকের ওপর নির্ভর করে তার অন্যতম হলো অবকাঠামো খাতের প্রকল্প। যেহেতু চীনের আবাসন ও ভোক্তা চাহিদা খাতে এখনো তেমন উন্নতি নেই, তাই অবকাঠামো খাতের প্রকল্পগুলোর উন্নতির ওপর নির্ভর করছে আগামী ছয় মাসে দেশটির অর্থনীতি কতটুকু এগোবে। সে কারণেই এ খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গত মাসেই প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সব ধরনের সহায়তা করবে তার সরকার। যদিও বেইজিংয়ের নেয়া শূন্য কভিড নীতিমালা দেশটির ব্যবসার গতিকে বেশ শ্লথ করে দিয়েছে।
যার কারণে বিশ্লেষকরা বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমিয়ে ধরেছেন। এদিকে সরকারের এ প্রণোদনার ঘোষণার পর চীনের পুঁজিবাজারে ভারী শিল্পের যন্ত্রপাতির শেয়ারের দাম বেড়ে গিয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1090847645.jpg[/IMG]