স্প্যাম বট নিয়ে সঠিক তথ্য শেয়ার না করায় সম্প্রতি টুইটার অধিগ্রহণ পরিকল্পনা থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন ইলোন মাস্ক। আকস্মিকভাবে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার অধিগ্রহণ পরিকল্পনা থেকে সরে আসায় টেসলা প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে টুইটার। চলতি বছরের এপ্রিলে টুইটার অধিগ্রহণ চুক্তিতে পৌঁছেছিলেন মাস্ক। কিন্তু শুরু থেকেই স্প্যাম বট ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ।

ইলোন মাস্কের দাবি, মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্মটির ২০ শতাংশই স্প্যাম বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট, যা টুইটারের দাবির চার গুণ বেশি। প্রকৃত স্প্যাম অ্যাকাউন্টের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলেও মনে করেন মাস্ক। কিন্তু শুরু থেকেই টুইটারের দাবি ছিল, তাদের প্লাটফর্মে স্প্যাম বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট ৫ শতাংশ।

টুইটারে স্প্যাম, বট বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট হচ্ছে এমন অ্যাকাউন্ট যেখানে বাস্তবে অনুপস্থিত ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব করা হয়। কিছু স্প্যাম অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি, আবার কিছু অ্যাকাউন্টের পেছনে কোনো ব্যক্তি জড়িত। এ কারণে স্প্যাম ও বট চিহ্নিত করার কাজটি বেশ জটিল। স্প্যাম বা বটের মাধ্যমে টুইট করা যায়, টুইট শেয়ার করা যায়, কাউকে ফলো দেয়া যায় বা ওই অ্যাকাউন্টকে অন্যরা ফলো দিতে পারে। টুইটারের দাবি, কিছু স্বয়ংক্রিয় বট অনেক ব্যবহারকারীর জন্য উপকারে আসতে পারে। উদাহরণস্বরূপ মি.স্টকবট বিভিন্ন স্টকের বাজারদর জানায়। এছাড়া আর্থকোয়াকবট বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে রিখটার স্কেলে ৫ কিংবা তার চেয়ে উচ্চমাত্রার ভূকম্পনের তথ্য শেয়ার করে। তবে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় করপোরেশনও তাদের স্বার্থ রক্ষায় স্প্যাম বট ব্যবহার করে। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া স্প্যাম বট ব্যবহার করে মার্কিন ভোটারদের মধ্যে বিভাজন বাড়িয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন কিছু বিশেষজ্ঞ। স্প্যাম বটের আরেকটি ঝুঁকির দিক হচ্ছে, বিভিন্ন ভুয়া পুরস্কার ঘোষণা করে অনেক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা নগদ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি গোষ্ঠী। মাঝে মাঝে সেলিব্রিটি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হেয়প্রতিপন্ন করতে স্প্যাম বট ব্যবহূত হচ্ছে।

বণিক বার্তা