দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানিতে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। জুনে দেশটির রফতানি দেড় বছরের সর্বনিম্ন গতিতে বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি দেশের বাইরে কোরীয় পণ্যগুলোর চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে। এতে দেশটির বাণিজ্য ব্যবধান বিস্তৃত হয়েছে এবং বৈশ্বিক মন্দা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি গাড়ি চিপ প্রস্তুতকারক হিসেবে বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল আমদানি করে। বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় বিস্তৃত হওয়ার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য ডাটার একটি চিত্রও তুলে ধরে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে দেশটির রফতানি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৭৭৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। যদিও দেশটির রফতানি অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত মাসে দেশটির রফতানি প্রবৃদ্ধির হার ২০২০ সালের নভেম্বরের পর সবচেয়ে ধীর।
রফতানি শ্লথ হলেও এ সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার আমদানিতে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। গত মাসে দেশটির আমদানি ৬ হাজার ২০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। জ্বালানির ক্রমবর্ধমান দাম দেশটির আমদানি ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি ২৪৭ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে অবদান রাখছে। বাণিজ্য ঘাটতির এ পরিমাণ চলতি বছরের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।
হানা ফাইন্যান্সিয়াল ইনভেস্টমেন্টের অর্থনীতিবিদ চুন কিউ-ইয়ন বলেন, পণ্যের দাম বাড়ার কারণে আমরা সাময়িকভাবে বাণিজ্য ঘাটতির কিছুটা ধারাবাহিকতা দেখতে পাচ্ছি। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধেও এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা। কারণ পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা এবং অস্থির মুদ্রা বিনিময় হার রফতানিকারকদের জন্য পর্বতসম বাধা তৈরি করেছে।
এ পরিস্থিতি বাকি বিশ্বের বাণিজ্য সংকট তুলে ধরে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়ানোর কারণে বিশ্বের বেশির ভাগ অর্থনীতি মন্দায় পড়ার শঙ্কা রয়েছে। ব্যাংকগুলোও রেকর্ড উচ্চতায় থাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রাবাজার কঠোর করার ক্ষেত্রে অনড় অবস্থানে। কারণ খাদ্য থেকে জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/698342018.jpg[/IMG]