রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার কারণ কি?
কোন দেশের নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে উৎপাদন কমে গেলে বা উৎপাদন পদ্ধতি ক্ষতিগ্রস্থ হলে কিংবা উৎপাদিত পণ্য রপ্তানিযোগ্য না হলে রপ্তানি আয় কমে যায়।

আমদানি ব্যয় যে কারণে বৃদ্ধি পায়:
বিশ্ববাজারে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়ে গেলে।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলে।
পণ্যের পরিবহণ (আন্তর্জাতিক) খরচ বেড়ে গেলে।
জ্বালানি, ভোগ্যপণ্য, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে।
পণ্যের সরবরাহ কমে গেলে।
বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে যে প্রভাব কাজ করছে:
বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বৃদ্ধি।
আমদানিকৃত কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি।
দেশীয় পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এর তথ্যমতে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ হচ্ছে-

স্থানীয় বাজারে কেরোসিন, ডিজেলসহ বিভিন্ন ধরণের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি।
আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য ও জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি।
কোভিডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা প্রদান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের হিসাব বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ থাকবে। আর এটি মোকাবেলা করাই হবে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

অর্থাৎ, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। মুদ্রাস্ফীতির ফলে দেশে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পণ্যদ্রব্যের দাম। যার ফলে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে দারিদ্র্যতা। বিশ্বনেতাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ব্যতীত এই ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠা প্রায় অসম্ভব