হ্যারিয়ার স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকল (এসইউভি) মডেলের ক্রয়াদেশ নেয়া বন্ধ করেছে টয়োটা। কভিডজনিত বাধা এবং চিপ ঘাটতির কারণে সরবরাহ বিলম্বিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির একজন মুখপাত্র। পরিবর্তে গ্রাহকদের মডেলটির নতুন আসতে যাওয়া সংস্করণ কেনার পরামর্শ দিচ্ছে জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।নিক কেই এশিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, সাংহাইয়ে কভিডজনিত লকডাউনের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ির কিছু ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। গ্রাহকদের আগামী সেপ্টেম্বরে বাজারে আসতে যাওয়া একটি নতুন হ্যারিয়ারে তাদের ক্রয়াদেশ সুইচ করতে বলা হচ্ছে।টয়োটার মুখপাত্র এ পরিকল্পনা নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিলাররা গ্রাহকদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে (বিকল্প গাড়ি কেনার জন্য) যোগাযোগ করছেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/959021187.jpg[/IMG]
তবে পুরনো ও নতুন গাড়ির মূল্যের পার্থক্য ডিলাররা বহন করতে পারবে কিনা, তা বিবেচনা করছে সংস্থাটি। নতুন মডেলটির মূল্য প্রায় ১ লাখ ইয়েন (৭৩৩ ডলার) বেশি হতে পারে। যদিও নতুন মডেলটির মূল্য কিংবা বৈশিষ্ট্যের উন্নতি নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি টয়োটা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ডিলার জানিয়েছেন, টয়োটা প্রথমবারের মতো নিজেদের উৎপাদনগত প্রতিবন্ধকতার কারণে ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে।

জাপান অটোমোবাইল ডিলার অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, গত বছর দেশটিতে প্রায় ৭৪ হাজার ইউনিট হ্যারিয়ার বিক্রি হয়েছিল। মহামারী শুরুর পর থেকেই যন্ত্রাংশ ঘাটতি মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি। সরবরাহ ব্যবস্থায় এ চাপের কারণে বার বার গাড়ি উৎপাদন কমাতে বাধ্য হচ্ছে সংস্থাটি। গত সপ্তাহে সংস্থাটি জানিয়েছিল, আগস্টে বিশ্বব্যাপী গাড়ি উৎপাদনের পরিকল্পনা চলতি বছরের শুরুতে দেয়া ঘোষণার চেয়ে ১৮ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে। চলতি মাসের শুরুতে সংস্থাটি ল্যান্ড ক্রুজার এসইউভির ক্রয়াদেশ নেয়াও বন্ধ করেছিল। উৎপাদন ক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ায় এ পদক্ষেপ নিয়েছিল টয়োটা।