চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) লোকসান করেছে অ্যামাজন। এ নিয়ে টানা দুই প্রান্তিক লোকসানের মুখ দেখল মার্কিন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি। মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, লোকসান সত্ত্বেও সংস্থাটির আয় ওয়াল স্ট্রিটের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

সিয়াটলভিত্তিক ই-কমার্স জায়ান্টটি জানায়, কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অতিরিক্ত ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা চালাচ্ছে অ্যামাজন। ৩০ জুন শেষ হওয়া প্রান্তিকে অ্যামাজন ২০৩ কোটি ডলার লোকসান করে। শেয়ারপ্রতি ২০ সেন্ট হারায় সংস্থাটি। গত বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ছিল ৭৭৮ কোটি ডলার। তবে অ্যামাজনের জন্য এ বছরের শুরুটা হয় লোকসান দিয়ে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিষ্ঠানটি ৩৮৪ কোটি ডলার লোকসান গুনেছিল। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম লোকসান করে সংস্থাটি।

ফ্যাক্টসেটের জরিপে অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ১২ সেন্ট মুনাফা করবে অ্যামাজন। তবে মুনাফা অর্জনের বদলে বরং লোকসানের মুখ দেখেছে সংস্থাটি। লোকসান করলেও আয় ঊর্ধ্বমুখী ছিল অ্যামাজনের। দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ১২ হাজার ১২০ কোটি ডলার আয় করে। অথচ ওয়াল স্ট্রিটের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ওই সময়ে আয় হবে ১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

এ বিষয়ে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্ডি জ্যাসি এক বিবৃতিতে জানান, আয় বাড়ার পেছনে মূল প্রভাবক প্রাইম মেম্বারশিপে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। সদস্যদের আরো সুযোগ-সুবিধাও দেয়া হচ্ছে।

বণিক বার্তা