রিজার্ভ হলো একটি দেশের সেলফ ইন্সুরেন্স। দেশের রপ্তানি এবং প্রবাসীদের অর্পিত আয় যা বৈধ উপায়ে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বৈদেশিক মুদ্রা আকারে জমা থাকে তাকে রিজার্ভ বলে। বৈদেশিক মুদ্রা থেকে আমদানি ব্যয়, ঋণ ও সুদ পরিশোধ, বিদেশে শিক্ষা ইত্যাদি নানা খাতের প্রয়োজনে রিজার্ভ ব্যবহার করে থাকে একটি দেশ।সুতরাং রিজার্ভ একটি দেশের উঠানামা করা স্বাভাবিক।আমাদের মূল রপ্তানি আয়, রেডিমেন্ট গার্মেন্টস এবং প্রবাসীদের আয় রেমিটেন্স মূল শক্তি। তাই আপাতত রিজার্ভ নিয়ে ভয়ের কিছু নাই তবে সাবধানে থাকার প্রয়োজন আছে।অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকগুলোতে প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে সামনের সারিতে বাংলাদেশ। এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে তিন চালিকাশক্তি। এগুলো হলো-কৃষি, গার্মেন্টস এবং রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়)। মোট বৈদেশিক আয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ আসে গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স থেকে। আর মোট শ্রমশক্তির ৪০ শতাংশের বেশি কৃষিতে।বিশেষ করে মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশই পোশাক খাতের। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা তৈরির ক্ষেত্রেও রেমিট্যান্সের বিশাল অবদান আছে।কখন রিজার্ভ নিয়ে সংকটে পরবো?১. যদি কখনো দেখি আমাদের রপ্তানি খাত গার্মেন্টস সেক্টরে এর উপর বিদেশিদের আগ্রহের কেন্দ্র নেই। অথবা আমার গার্মেন্টস শিল্প এর চালিয়ে নিতে পারছি না।২. আমাদের ম্যানপাওয়ার প্রতি বছর বিদেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। অথবা আমাদের কৃষি পণ্য বিদেশে পাঠাতে পারছি না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1414848006.jpg[/IMG]