যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের প্রধান পররাষ্ট্র ও অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় কাজ করে সেমিকন্ডাক্টরসহ প্রধান প্রধান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সরবরাহ ব্যবস্থার অস্থিতিশীলতা সম্পর্কে অবহিত করবে দুই পক্ষ। সম্প্রতি কিয়োদো নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে চীন। আবার রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধরত। এ ধারাবাহিকতায় বিশ্ববাজারে খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহে আশঙ্কা জন্মেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এক জোট হয়েছে দুই মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। সম্প্রতি দুই দেশের চুক্তির মাধ্যমে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে দুই দেশ জানায়, দুই দেশের অর্থনীতি আরো স্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা তাদের। অর্থনৈতিক নিরাপত্তার হুমকির বিরুদ্ধে নিয়ম অনুসারে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দুই দেশ।

এছাড়া মোট চারটি বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা পেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। এগুলো হলো সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, অর্থনৈতিক নিগ্রহ মোকাবেলা করা, জটিল প্রযুক্তি ও অবকাঠামোর নিরাপত্তা এবং নিয়মভিত্তিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলার মাধ্যমে শান্তি ও সাফল্য অর্জন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে দুই দেশের মধ্যে টু প্লাস টু সভায় আলোচনা করা হয়। আলোচনা সভার শুরুতে জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী কোইচি হাগিউদা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সম্পর্ক গভীর করতে আমরা একটি নতুন অধ্যায় রচনা করতে চলেছি। আলোচনা সভাটি একসঙ্গে পরিচালনা করেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও বাণিজ্যিক সচিব জিনা রাইমন্ডো।

বণিক বার্তা