চলতি বছরের জুলাইয়ে রাশিয়ায় চীনা পণ্য রফতানি অব্যাহতভাবে ঊর্ধ্বমুখী ছিল। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা চার মাস রফতানি কমার পর গত মাসে রাশিয়ায় রফতানি বেড়েছে এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দেশটির। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের জের ধরে রাশিয়াকে বয়কট করেছিল পশ্চিমা মহল। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চীন বরাবরই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে দেশটিতে চীনের পণ্য পরিবহন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। যদিও এর আগে জুনে রফতানি ১৭ শতাংশ কমেছিল। অন্যদিকে জুলাইয়ে চীনে রুশ পণ্য আমদানি বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ। যদিও জুনে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫৬ শতাংশ। মে মাসে এ হার ছিল ৭৯ দশমিক ৬ শতাংশ। জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লা ও কৃষিপণ্য সরবরাহের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল চীন। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও মে ও জুনে চীনের বৃহত্তম জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ ছিল রাশিয়া। যদিও জুলাইয়ে রুশ বন্দর থেকে চীনে জ্বালানি তেল সরবরাহ ২ কোটি ১৩ লাখ ব্যারেল কমেছে। ফেব্রুয়ারির পর ওই মাসেই রাশিয়া থেকে সর্বনিম্ন জ্বালানি তেল সরবরাহ হয় দেশটিতে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর দিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। যুদ্ধের জের ধরে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে রাশিয়ার আগ্রাসনকে নিন্দা জানাতে অসম্মতি প্রকাশ করেছে চীন। যদিও বেইজিং জানায় যুদ্ধরত কোনো দেশকেই কোনো ধরনের সামরিক সহায়তা দেয়নি চীনা সরকার।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/585531220.jpg[/IMG]