চীনের কারখানাগুলোর উৎপাদন ও খুচরা বিক্রি গত জুলাইয়ে বাড়লেও এটি অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম ছিল। দেশটির ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (এনবিএস) প্রকাশিত একটি তথ্যে এমনটি জানা গিয়েছে। ওই তথ্যে আরো বলা হয়েছে, এ সময়ে কভিডজনিত মহামারী বৃদ্ধি পাওয়া এবং স্থানীয় বাজারে প্রপার্টির বিশৃঙ্খলা চীনের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পথ বাধাগ্রস্ত করেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন। কভিড-১৯ বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল থাকায় গত জুনে দেশটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বেড়েছিল। তবে জিরো কভিড নীতি, ঘন ঘন লকডাউন এবং দীর্ঘ কোয়ারেন্টিনের কারণে এ বৃদ্ধি কমতে থাকে। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1002406876.jpg[/IMG]
এনবিএস আরো জানায়, জুলাইয়ে চীনের শিল্প উৎপাদন ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে জুনের চেয়ে এ হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। এদিকে জুলাইয়ে খুচরা বিক্রি ধীর গতিতে বাড়লেও গত বছরের তুলনায় প্রত্যাশার চেয়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে খুচরা বিক্রি জুনের চেয়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। শহরে বেকারত্বের হারও ৫ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। এনবিএস এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলেছে, বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে স্থবিরতার ঝুঁকি বাড়ছে। এবং দেশীয় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা এখনো শক্তিশালী নয়।
সম্প্রতি ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের সিনিয়র চীনা অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান ইভান্স প্রিচার্ড বলেন, খুচরা বিক্রির কার্যক্রম স্থগিত হতে পারে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কিছু নতুন ভাইরাসের কারণে ব্যবসায় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত এবং আবাসন খাতের সমস্যার কারণে ভোক্তাদের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে।