যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রদেশগুলোর নির্বাচনী কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে এটি বাস্তবে ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। ফলে বিষয়টি ঘিরে অস্থিরতাও বিরাজ করছে। খবর বোস্টনগ্লোব।

অ্যারিজোনায় অনলাইনে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার কারণে প্রদেশটির সেক্রেটারির কাছে হুমকি-ধামকিমূলক ফোনকল এসেছে। অফিসের কর্মীরা বাধ্য হয়ে ফোনকল রিসিভ করা থেকে বিরতি নিয়েছেন। মিশিগানের কর্মকর্তারা অনলাইনে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের আধিক্য দেখতে পেয়েছেন। এর পরই চলতি সপ্তাহে তারা প্লাটফর্মে আরো কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রণয়নে প্রযুক্তিপ্রতিষ্ ানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) চিঠি পাঠিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মাইন প্রদেশে নির্বাচনের দিন সবসময় পাই খাওয়ার আয়োজন করা হয়। গত বছর সেখানকার এক নির্বাচনী কর্মকর্তা ফেসবুকে প্রাণনাশের হুমকি পান। প্রদেশগুলোর ৫০ জন সেক্রেটারি ও ১২টি অফিসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের মধ্যে যারা কথা বলেছেন তারা জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে অনলাইনে সন্দেহপ্রবণতা তীব্রভাবে বেড়েছে। ফলে অনেক প্রদেশের নির্বাচনী কর্মকর্তারা হুমকির মুখে রয়েছেন এবং অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে যে অচলাবস্থা তৈরি হয় সেটির পেছনে অনলাইনে ভোট জালিয়াতির মতো অপবাদ বড় ভূমিকা রেখেছিল। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তাদের প্লাটফর্মে নির্বাচনী সহিংসতা, অপপ্রচার, ভুয়া তথ্যের বিস্তার বন্ধের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রদেশের সরকারের জন্য আলাদা চ্যানেল যুক্ত করেছে, যেখানে সরাসরি যেকোনো পোস্ট নিয়ে অভিযোগ দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

বণিক বার্তা