মানবিক কর্মকাণ্ডের তহবিল ক্রমশ কমে আসছে বলে জানিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটি বলছে, রোহিঙ্গাদের সহায়তা তহবিলে ঘাটতি রয়েছে। চলতি বছর রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য যে তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল, তার অর্ধেকও জোগাড় হয়নি। তাই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভুলে না যেতে আন্তর্জাতিক দাতা সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর রয়টার্স।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে। এসব শরণার্থী পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় সম্প্রদায়ের পাঁচ লাখসহ ১৪ লাখের বেশি মানুষের সহায়তায় ২০২২ সালের জন্য ৮৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৪২ কোটি ৬২ লাখ ডলার, অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪৯ শতাংশ জোগাড় হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি অপূর্ণ চাহিদার মধ্যে রয়েছে সঠিক পুষ্টি, আশ্রয়ের উপকরণ, স্যানিটেশন সুবিধা এবং জীবিকার সুযোগ। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষাকারী সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং আছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তহবিল খুবই কম।


রোহিঙ্গা শরনার্থীরা বলেছেন, তারা মিয়ানমারে ফিরতে পারছেন না, বাংলাদেশেও কাজের সুযোগ নেই। তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এ অবস্থায় তাদের দুর্দশার কথা আন্তর্জাতিক দাতা সম্প্রদায়কে আবারো মনে করে দিতে চায় ইউএনএইচসিআর।

বণিক বার্তা