চলতি বছর ভারি বৃষ্টির কারণে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও পাকিস্তানের শহরগুলো প্লাবিত হয়েছে। ভারতে ব্যাহত হয়েছে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। আবার কেনিয়া থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ও ইউরোপের প্রায় অর্ধেক অঞ্চলে খরা দেখা দিয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে পণ্য পরিবহন কার্যক্রম। এ ধরনের বিপর্যয়ের কারণে অর্থনীতিতে লাখ লাখ ডলারের লোকসান হচ্ছে। নতুন একটি সমীক্ষা অনুসারে, পানি-সম্পর্কিত এসব দুর্যোগে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি পাঁচ লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার হারাতে পারে। এ ক্ষতির পরিমাণ গত ৫০ বছরের থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। খবর রয়টার্স।

ব্রাসেলসভিত্তিক সেন্টার ফর রিসার্চ অন দ্য এপিডেমিওলজি অব ডিজাস্টারের ইমারজেন্সি ইভেন্টস ডাটাবেজ অনুসারে, গত বছরের তীব্র খরা, বন্যা ও ঝড়ের কারণে বিশ্বজুড়ে ২২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং ও পরিবেশগত পরামর্শক সংস্থা জিএইচডির এ সমীক্ষায় সতর্ক করা হয়েছে, গত কয়েক বছর বিশ্বজুড়ে তীব্র খরা, বন্যা ও ঝড়ের মতো দুর্যোগগুলো বেড়ে গিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী দশকগুলোয় আরো বেশি বৃষ্টিপাত, বন্যা ও খরার পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে চলেছে।

জিএইচডির কানাডিয়ান ওয়াটার মার্কেট প্রোগ্রামের প্রধান ডন হ্যাল্যান্ড বলেন, পানি খুব বেশি বা খুব কম দুটিই ক্ষতিকর। এ পানি অনেক সম্প্রদায়কে ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে।

জিএইচডি বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও জলবায়ু পরিস্থিতির প্রতিনিধিত্বকারী সাতটি দেশে পানির ঝুঁকি মূল্যায়ন করেছে। দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, চীন, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফিলিপাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও অস্ট্রেলিয়া। বৈশ্বিক বীমা তথ্য ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা ব্যবহার করে কীভাবে চরম ঘটনাগুলো বিভিন্ন খাতে প্রভাব ফেলছে, তা বিশ্লেষণ করেছে। দলটি এটির তাত্ক্ষণিক খরচের পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনীতিতে দেশগুলোর ক্ষতির পরিমাণ অনুমান করেছে।

বণিক বার্তা