চলতি বছর রুশ অর্থনীতি ৩ শতাংশেরও কম সংকুচিত হবে। এ হার আগের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক কম। পাশাপাশি এ সময়ে দেশটির মূল্যস্ফীতিও আগের আশঙ্কার নিচে থাকবে বলে জানিয়েছেন রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোউসভ। রয়টার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয় রাশিয়া। তখন থেকেই দেশটির অর্থনীতি সংকটের মুখোমুখি হয়।
উপপ্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোউসভ বলেন, চলতি বছর রাশিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২ শতাংশের বেশি কমে যাবে। তবে আগামী বছর কমার এ হার ১ শতাংশের মধ্যে থাকবে। চলতি বছর দেশটির জিডিপি ৪ দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে আগস্টের মাঝামাঝি দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল। তবে এর আগে জিডিপি ১২ শতাংশের বেশি হ্রাস পাবে বলে সতর্ক করা হয়। নব্বইয়ের দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে অথনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল দেশটিতে। ওই সময়ের অর্থনৈতিক সংকটের চেয়ে এবারের সংকট ভয়াবহ হবে বলে মনে করা হয়েছিল।
আন্দ্রেই বেলোউসভ আরো বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা এবং অনেক বিদেশী কোম্পানির রাশিয়া ত্যাগের পরও দেশটির শ্রমবাজার ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। গত জুনে দেশটির বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯২ সালে পরিসংখ্যান পরিষেবা প্রকাশ শুরুর পর এবারই পরিসংখ্যানে বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন দেখা গিয়েছে। উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের কারণে রুবলের বিনিময় হারে রেকর্ড পতনের পর গত এপ্রিলে দেশটির মূল্যস্ফীতি ১৭ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। তবে চলতি বছর সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ১২-১৩ শতাংশ হবে।
দেশটির স্থানীয় এক টেলিভিশনে বৈঠককালে তিনি বলেন, ইউরোপীয় বাজারে রাশিয়ার প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ বছর পণ্যবহির্ভূত রফতানি ১৭ শতাংশ কমে যাবে। তবে নতুন নতুন বাণিজ্য রুট এবং সমান্তরাল আমদানির কারণে ভোগ্যপণ্যের আমদানি অনেকটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2129223010.jpg[/IMG]