বিদ্যুচ্চালিত যানবাহনের দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে ফক্সওয়াগন। তবে এ স্থানান্তরের জন্য সঠিক ‘ছন্দ’ খুঁজে পাওয়াটা জরুরি। সম্প্রতি জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির নতুন প্রধান নির্বাহী অলিভার ব্লুমি এক অভ্যন্তরীণ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। লিসবনে বিশ্বের শীর্ষ সব ব্যবস্থাপকের মধ্যে বসে ব্লুমি জানান, চীন ও উত্তর আমেরিকার বাজারে আর্থিক দৃঢ়তা, স্থায়িত্ব, পুঁজিবাজার এবং উন্নয়ন বিষয়ে ১০টি পয়েন্ট সংবলিত একটি পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, ই-গতিশীলতার একজন বড় ভক্ত আমি এবং আমি এ পথে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বর্তমানে আমাদের যে গতি রয়েছে সেটা আমরা বজায় রাখব এবং যেখানে সম্ভব হবে সেখানে গতি আরো বাড়াব।
২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছে ফক্সওয়াগন। এমনকি ২০৩০ সালের মধ্যে বিক্রি করা মোট গাড়ির অর্ধেকই ব্যাটারি-ইলেকট্রিক হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। ২০১৫ সাল থেকে পোরশের সিইও হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন ব্লুমি। ফক্সওয়াগন গ্রুপের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি আবার প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান হার্বার্ট ডায়েসের ব্যাটারি-ইলেকট্রিক যানের ওপর দেয়া শক্তিশালী মনোযোগ বাদ দেবেন কিনা এমন প্রশ্নও তোলা হচ্ছিল। যদিও নতুন প্রধান এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ই-জ্বালানি পোরশের জন্যও একটি বিষয় ছিল। লিসবনে নিজের বক্তব্যে ব্লুমি বলেন, ফক্সওয়াগন নিশ্চয়ই পরিষ্কার কোনো কৌশল নির্ধারণ ও অনুসরণ করে স্থিতিশীল রূপান্তরের জন্য সঠিক ছন্দ খুঁজে পাবে। তার বক্তব্যে টিমওয়ার্ক ও সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, পূর্বসূরির তুলনায় অনেক বেশি শান্ত ও ঐকমত্যের নেতা হওয়ার কারণেই ব্লুমিকে এ জায়গার জন্য উপযুক্ত হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। তার আগের প্রধান সব সময় কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনা এবং একাধিপত্যের মনোভাব রাখায় গাড়ি তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানটির শক্তিশালী শ্রমিক কাউন্সিলের অনেকেই রাগান্বিত হয়ে ওঠেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1606877615.jpg[/IMG]