রেকর্ড উচ্চতায় মূল্যস্ফীতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। সব মিলিয়ে প্রধান অর্থনীতিগুলোয় মন্দার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। এরই মধ্যে অতিপ্রয়োজনীয় ছাড়া কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছেন ভোক্তারা। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেও বিলাসপণ্যে ব্যয় অব্যাহত রেখেছেন কিছু ধনী। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ পরিস্থিতির পরিবর্তনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী মাসগুলোয় বিলাসপণ্যের বিক্রিও কমে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

ইয়াহু ফাইন্যান্সের খবর অনুসারে, কিছু উচ্চমূল্যের ভোক্তা এরই মধ্যে ব্যয় কমিয়েছেন। এলভিএমএইচের উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের সাবেক চেয়ারম্যান পলিন ব্রাউনের মতে, বিলাসপণ্যের দুই ধরনের ভোক্তা রয়েছেন। উচ্চমূল্যস্ফীতির পরিস্থিতিতে তারা ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। অতিধনী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী এ দুই ধরনের ভোক্তা মূলত বিলাসপণ্যের বাজারকে চালিত করেন।

সাম্প্রতিক আয়ের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিলাসপণ্যের মার্জিনে কিছু ঘাটতি রয়েছে। তবে ক্রেতাদের মধ্যে এমন একটি অংশ রয়েছে, যারা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ব্যয় অব্যাহত রেখেছেন। যেমন রাল্ফ লরেন ও ক্যাপ্রি হোল্ডিংয়ের মতো বিলাপণ্যের খুচরা বিক্রেতারা উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভোক্তাদের ওপর বেশি নির্ভরশীল। অন্যদিকে এলভিএমএইচ এবং গুচির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেরিংয়ের প্রধান ভোক্তা ধনীরা।

বণিক বার্তা