চার দশকের সর্বোচ্চ উচ্চতায় মূল্যস্ফীতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়াচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভ। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজার। নিম্নমুখী হয়েছে শেয়ারদর। এ অবস্থায় কমে গিয়েছে মার্কিন নাগরিকদের পারিবারিক সম্পদ। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের সম্পদে রেকর্ড পতন হয়েছে। এক্ষেত্রে রিয়েল এস্টেট খাতের সম্পদের মূল্যমান হ্রাসও ভূমিকা রেখেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের পারিবারিক সম্পদ ৬ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার কমেছে। এ পতনের পরিমাণ মহামারী শুরুর পর বিপর্যস্ত পরিস্থিতির চেয়েও বেশি। ফেডারেল রিজার্ভ জানিয়েছে, জুনের শেষে মোট পারিবারিক সম্পদ ১৪৩ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলারে নেমেছে। মার্চের শেষে এ সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৪৯ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলার। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় প্রান্তিকের মতো দেশটির পারিবারিক সম্পদে পতন হলো।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে পারিবারিক সম্পদের নিট পতন দুই বছর আগের রেকর্ড পতনের চেয়েও প্রায় ৩ হাজার কোটি ডলার বেশি ছিল। সে সময় কভিডজনিত মহামারীর কারণে অর্থনীতিজুড়ে স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল। সংকুচিত হয়ে পড়েছিল আয়ের পথ। বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারগুলো চরম অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল।

তবে শতাংশীয় পয়েন্টের হিসাবে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে পারিবারিক সম্পদ সবচেয়ে বেশি কমেছিল। সে সময় এ সম্পদে ৫ দশমিক ২ শতাংশ পতন হয়েছিল। যেখানে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সম্পদ কমার হার ৪ দশমিক ১ শতাংশ।

বণিক বার্তা