চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনে ক্লাউড পরিষেবা ব্যয় বেড়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডে ক্লাউড অবকাঠামো খাতে ব্যয় ১১ শতাংশ বেড়ে ৭৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে বৈশ্বিক ক্লাউড পরিষেবা ব্যয় ১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রযুক্তিবাজার বিশ্লেষক সংস্থা ক্যানালিসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক বাজারে ক্লাউড পরিষেবার উচ্চপ্রবৃদ্ধির তুলনায় চীনের গতি কিছুটা কম ছিল। এর পেছনে স্পষ্টত দুই মাসের লকডাউনের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক ক্লাউড পরিষেবা বাজার যেখানে ৩৩ শতাংশ সম্প্রসারিত হয়েছে সেখানে চীনের বাজার ২০ শতাংশ সম্প্রসারিত হয়েছে।

ক্যানালিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে চীনা ক্লাউড বাজারে গতি ফিরে আসবে। কারণ হিসেবে বলা হয়, গত জুনে দেশটির প্রধান শহরগুলোয় ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুনরুদ্ধার হতে শুরু করেছে।

এদিকে দেশটির ক্লাউড বাজারে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আলিবাবা, হুয়াওয়ে, টেনসেন্ট ও বাইদু এআই ক্লাউড। চীনের ক্লাউড বাজারের মোট ব্যয়ের ৭৯ শতাংশ করেছে এ চার ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চার শীর্ষ ক্লাউড পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানেরই প্রান্তিকওয়ারি প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি দেখা গিয়েছে। দেশটিতে পুনরায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে এ প্রবৃদ্ধির হার কমেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে চীনে এখনো ক্লাউড পরিষেবার শক্তিশালী সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, অন্যান্য দেশের ক্লাউড পরিষেবার তুলনায় দেশটিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যয় অনেক কম রয়েছে।

চীনের বাণিজ্য খাতের অনেক গ্রাহক রয়েছে, যারা ক্লাউড পরিষেবায় স্থানান্তর করার উপায় খুঁজছে। বিশেষ করে এসএমবিএস ক্লাউডে স্থানান্তরিত হওয়ার চেষ্টায় রয়েছে।


বণিক বার্তা