ক্রমবর্ধমান রয়েছে মূল্যস্ফীতির চাপ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পণ্য ও সেবার দাম। জীবনযাত্রার উচ্চব্যয় মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে ব্রিটিশ পরিবারগুলো। অতিপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্যে ব্যয় কমিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে মন্দার ঝুঁকির মধ্যে কর্মী ঘাটতি ও উচ্চব্যয়ের চাপ অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ অবস্থায় ধীর হয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। খবর রয়টার্স।

অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, জুলাইয়ে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে জুনে দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল দেশটির জিডিপি। ব্রিটিশ রানীর প্লাটিনাম জুবিলির জন্য অতিরিক্ত ব্যাংক ছুটির কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংকুচিত হয়েছে। সিটি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা এক মাস আগের পতনের পর শক্তিশালী দশমিক ৪ শতাংশ পুনরুদ্ধারের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এর আগে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে।

পেশাদার পরিষেবা নেটওয়ার্ক কেপিএমজি ইউকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়ায়েল সেলফিন বলেন, জুলাইয়ে দুর্বল বৃদ্ধির হার ইঙ্গিত দেয় অর্থনীতি মে মাসের তুলনায় ছোট ছিল। জীবনযাত্রার উচ্চব্যয় নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে একটি দুর্বল গ্রীষ্মকে প্রতিফলিত করে। এটি অর্থনীতির জন্য একটি নিম্নমুখী দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। চলতি বছরের শেষে ব্রিটিশ অর্থনীতিতে অগভীর মন্দা দেখা দিতে পারে। পারিবারিক আয়ের ওপর চলমান চাপ এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলোর ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের চাপ এ মন্দা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।

জ্বালানি সংকট নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই এ পরিসংখ্যান সামনে এল। জ্বালানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটিশ পরিবারগুলোর ব্যয় ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সতর্ক করেছে যে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি বিলের কারণে সৃষ্ট উচ্চমূল্যস্ফীতি আগামী শীতে অর্থনীতিকে দীর্ঘ মন্দায় নিমজ্জিত করবে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম সপ্তাহে লিজ ট্রাস ১৫ হাজার কোটি পাউন্ডের একটি প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন। পরিবার ও ব্যবসাগুলোর ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের চাপ মোকাবেলায় এ অর্থ ব্যয় করা হবে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এ প্রণোদনা সম্ভবত মূল্যস্ফীতির উচ্চচাপ কিছুটা রোধ এবং মন্দার তীব্রতা কমিয়ে আনবে।



বণিক বার্তা