আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের দর ২০১১ সালের পর সর্বনিম্নে নামেছে। ওই বছর থেকে দর বাড়া-কমার ডেটা প্রকাশ শুরু হয়। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর সর্বনিম্ন দরপতন হয় ইউয়ানের। চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ তাদের সুদহার ফের বাড়ানোর পর প্রভাবশালী মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে ডলার। এবার ডলারের বিপরীতে বড় দরপতন দেখল ইউয়ান। ব্লুমবার্গের, চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে বুধবার এক ডলার কিনতে খরচ করতে হয়েছে ৭ দশমিক ২৩৮৬ ইউয়ান।
চীনা মুদ্রার অবনমনের খবরের মধ্যে বুধবার এশিয়ার বড় পুঁজিবাজারগুলোতে সূচকে ধস নেমেছে। সকালে লেনদেনের সময় জাপানের নিক্কেই, হংকংয়ের হ্যাং সেং এবং সাউথ কোরিয়ার কসপির সূচক কমে ২ শতাংশের বেশি।
ইউয়ানের পতন ঠেকাতে কাজ করছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপল’স ব্যাংক অফ চায়না (পিবিওসি)। এর অংশ হিসেবে চীনা ব্যাংকগুলোতে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়নের সীমা কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংকটকালে ডলারে বিনিয়োগকে নিরাপদ মনে করেন অনেকে। এটি অন্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারকে শক্তিশালী করায় ভূমিকা রেখেছে। সোমবার ডলারের বিপরীতে সর্বকালের সর্বনিম্নে নামে ব্রিটিশ পাউন্ড। দুই দিন পর বেশ কিছু মুদ্রার বিপরীতে ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে যায় ডলার।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/650622794.jpg[/IMG]