এখনো অব্যাহত রয়েছে কভিডজনিত প্রতিবন্ধকতা। বার বার লকডাউন ও বিধিনিষেধের কারণে বিভিন্ন শহরের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গভীর হচ্ছে আবাসন খাতের সংকট। নিম্নমুখী রয়েছে অভ্যন্তরীণ চাহিদাও। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে অনিশ্চয়তা। এমন পরিস্থিতিতে চীনের শিল্প খাতের মুনাফার পতন আরো ত্বরান্বিত হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশটির শিল্প মুনাফা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে। খবর রয়টার্স।

গতকাল প্রকাশিত ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্সের (এনবিএস) তথ্য অনুসারে, জানুয়ারি-আগস্ট সময়ে শিল্প মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ কমে গিয়েছে। যেখানে বছরের প্রথম সাত মাসে এ মুনাফা কমার হার ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ। মূল কার্যক্রম থেকে বার্ষিক ২ কোটি ইউয়ানের বেশি আয় করা প্রতিষ্ঠানগুলো এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

যদিও এনবিএস আগস্ট ও জুলাইয়ের আলাদা পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। আগস্টে চীনের অর্থনীতি আশ্চর্যজনক স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছিল। শিল্পোৎপাদন ও খুচরা বিক্রি প্রত্যাশার সঙ্গে সংগতি রেখে বেড়েছে। তবে রিয়েল এস্টেট খাতের মন্দা এবং কভিডজনিত লকডাউন সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফলে গত মাসে শিল্প খাতের মুনাফা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রিয়েল এস্টেট কোম্পানি জোনস ল্যাং লাসালের প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্রুস প্যাংক বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আরো অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে। কারণ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর এ সময়েও চরম আবহাওয়া, আঞ্চলিক জ্বালানি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা এবং নতুন করে কভিড সংক্রমণের প্রভাবে ব্যাহত হয়েছিল।

বণিক বার্তা