চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) গাড়ি উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে টেসলা। মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বেশি বিক্রীত মডেল ওয়াই ও মডেল থ্রির উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলতে চায়। ২০২৩ সালে অস্টিন ও বার্লিনের নতুন কারখানাগুলো উৎপাদন আরো বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে বলে আশাবাদী সংস্থাটি।

রয়টার্সের পর্যালোচনা করা অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা অনুসারে, এ উৎপাদনের পূর্বাভাস অর্জিত হলে চলমান প্রান্তিকে টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্কের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ সংস্থাটি গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা বিএমডব্লিউর কাছাকাছি যেতে চায়।

এর আগে গত এপ্রিলে ইলোন মাস্ক বলেছিলেন যে, টেসলার সরবরাহ ৬০ শতাংশ বাড়তে পারে। জুলাইয়ে সংস্থাটি চলতি বছরের জন্য সেই লক্ষ্যমাত্রা কাটছাঁট করে ৫০ শতাংশে নিয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘস্থায়ী সরবরাহ ব্যবস্থায় ঝুঁকি, ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও উচ্চভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটি বছরের শেষ তিন মাসে প্রায় ৪ লাখ ৯৫ হাজার ইউনিট মডেল ওয়াই ও মডেল থ্রি উৎপাদন করার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়েছে। এ দুই মডেল টেসলার মোট উৎপাদনের প্রায় ৯৫ শতাংশ। তবে সংস্থাটি এখনো উৎপাদন বাড়ানোর এ লক্ষ্যমাত্রার ঘোষণা দেয়নি। পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত দুটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তবে গাড়ি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সংস্থাটিকে বিপুল পরিমাণ ব্যয় করতে হয়েছে। মে মাসের শেষ দিকে মাস্ক বলেছিলেন, টেক্সাস ও জার্মানির নতুন কারখানায় বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে। তিনি এটিকে বিশাল অর্থের চুল্লির সঙ্গেও তুলনা করেন। সব মিলিয়ে কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে গাড়ি উৎপাদন স্বরূপে ফিরিয়ে আনতে চাইছে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ করে চীনের সাংহাইয়ের কারখানায় গাড়ি উৎপাদনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠেছে সংস্থাটি।

বণিক বার্তা