মেঘের সৌন্দর্য কাছ থেকে উপভোগের জন্য সাজেক ভ্যালিতে ঘুরতে যান পর্যটকরা। বর্তমানে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি রাঙ্গামাটি জেলার সর্বউত্তরে মিজোরাম সিমান্তে অবস্থিত। সাজেক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন, যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। এর উত্তরে ভারতের ত্রিপুড়া, দক্ষিণে রাঙ্গামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা অবস্থিত। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতার সাজেক ভ্যালি যেন এক প্রাকৃতিক ভূ-স্বর্গ। সকাল ও বিকেলে রং বদলায় এই পার্বত্য অঞ্চল। চারপাশে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো বিস্তীর্ণ পাহাড়ের সারি, আর তুলোর মতো উড়ে বেড়ানো মেঘ এরই মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সাজেক ভ্যালি। বর্তমানে দেশের অন্যতম পর্যটন গন্তব্য হলো সাজেক। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক ভিড় করেন এই স্থানে। বিশালাকার পাহাড়, মেঘ ও প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পর্যটকরা ছুটেন সাজেক ভ্যালিতে। তবে যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বেশ অনেকটা খরচ হয় সাজেক ভ্রমণে। এ কারণে অনেকেই দূরে কোথাও ভ্রমণের আগে দশবার ভাবেন! সেক্ষেত্রে যদি আপনি কোনো গ্রুপের সঙ্গে যান তাহলে খরচ অনেকটাই কমে আসবে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গড়ে উঠেছে অনেক ছোট-বড় ট্যুর গ্রুপ। খুব কম খরচেই এসব ট্যুর গ্রুপের সঙ্গে গিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন আপনার পছন্দের ভ্রমণ গন্তব্যে। তেমনই এক গ্রুপ হলো ‘বাংলাদেশ টুর গ্রুপ (বিটিজি)’। কম খরচে যারা সাধ্যের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে চান, তারা চাইলে এই গ্রুপের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যেতে পারেন। যেসব স্থানে ঘুরতে পারবেন- সাজেক ভ্যালি, রুই লুই পাহাড়, কংলাক পাহাড়, লুসাই গ্রাম, স্টোন গার্ডেন, হ্যালিপ্যাড, আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝরনা ও সময় সাপেক্ষে হার্টিকালচার পার্ক।
সাজেক ট্যুরে যাওয়ার সময় সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন- পানিতে ভেজানো যায় ও পাহাড়ে ওঠা-নামার জন্য ভালো গ্রিপের স্যান্ডেল বা জুতা, সানগ্লাস, হ্যাট, পানির বোতল, গামছা, হালকা ব্যাগ, প্রয়োজনীয় ওষুধ, ক্যামেরা, পাওয়ার ব্যাংক, শুকনো খাবার ইত্যাদি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/40905489.jpg[/IMG]