+ Reply to Thread
Results 1 to 1 of 1

Thread: আইএমএফের ঋণ নিয়ে দোদুল্যমান বাংলাদেশ

  1. #1 Collapse post
    Senior Member SUROZ Islam's Avatar
    Join Date
    Jan 2018
    Posts
    827
    Accrued Payments
    916.35 USD
    Thanks
    1,375
    Thanked 2,287 Times in 437 Posts
    SubscribeSubscribe
    subscribed: 0

    আইএমএফের ঋণ নিয়ে দোদুল্যমান বাংলাদেশ

    [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/570399551.jpg[/IMG]
    ঋণসহায়তা পেতে হলে সরকারকে আর্থিক খাত সংস্কার ও কার্যকর সুশাসন প্রতিষ্ঠার শর্ত দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ব্যাংকে সুদহারের সীমা তুলে দেয়ার পাশাপাশি ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাবায়নে সংস্কার আনারও তাগিদ দিচ্ছে বহুজাতিক ঋণ সংস্থাটি। জুড়ে দেয়া হচ্ছে রাজস্ব খাতের সংস্কার, ভর্তুকি বন্ধের মতো কঠিন শর্তও। এ অবস্থায় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণগ্রহণ নিয়ে দোদুল্যমানতা তৈরি হয়েছে। অস্বস্তি তৈরি হয়েছে সরকারি নানা সংস্থায়ও। এফবিসিসিআই, বিজিএমইএর মতো ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতারাও এখন এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের অর্থনীতিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটি কাটাতে আইএমএফসহ দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণ নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। ঋণপ্রাপ্তিতে যত দেরি হবে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকটও তত গভীর হবে। আইএমএফের ঋণ নিশ্চিত হলে তাতে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা যাবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর প্রতি তৈরি হওয়া বিদেশী ব্যাংকের আস্থার ঘাটতিও কেটে যাবে।
    দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে গত অর্থবছর। ২০২১-২২ অর্থবছর রেকর্ড ৮৯ দশমিক ১৬ বিলিয়ন বা ৮ হাজার ৯১৬ কোটি ডলারের আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলে বাংলাদেশ। ফলে অর্থবছর শেষে দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৩৩ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সরকারের চলতি হিসাবের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে। সব মিলিয়ে ব্যালান্স অব পেমেন্টে (বিওপি) ৫ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি নিয়ে গত অর্থবছর শেষ হয়। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই আমদানি দায় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানি এলসি খোলায় বিভিন্ন শর্তও আরোপ করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্নমুখী তত্পরতায় আমদানি কিছুটা কমে এলেও বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল হয়নি। উল্টো দিন যত যাচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের সংকটও তত বাড়ছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম প্রান্তিকে বাণিজ্য ঘাটতি, চলতি হিসাবে ঘাটতি এবং বিওপির ঘাটতি আরো বড় হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬৭৭ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এ ঘাটতির পরিমাণ ৭৫৪ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারের চলতি হিসাবে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৫৪ কোটি ডলার। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এ ঘাটতি ৩৬১ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই বিওপির ঘাটতি ছাড়িয়েছে ৩৪৪ কোটি ডলার। যদিও গত অর্থবছরের একই সময়ে এ ঘাটতি মাত্র ৮১ কোটি ডলারে সীমাবদ্ধ ছিল।

    অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় অক্টোবরে বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। অক্টোবরে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় উভয়ই ৭ শতাংশের বেশি হারে কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান দুই উৎসেই পতন হওয়ায় বিওপির ঘাটতি স্ফীত হয়েছে। এ ঘাটতি পূরণ করতে প্রতিনিয়ত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে চলতি অর্থবছরে প্রথম চার মাসেই (জুলাই-অক্টোবর) রিজার্ভ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যদিও গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল।

    রিজার্ভ থেকে রেকর্ড পরিমাণ ডলার বিক্রির পরও বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। উল্টো দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকের হাতেই বর্তমানে এলসি দায় মেটানোর মতো ডলার নেই। এ কারণে অনেক ব্যাংকই নির্দিষ্ট সময়ে এলসি দায় পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছে। আবার প্রায় সব ব্যাংকই নতুন এলসি খোলা একেবারেই সীমিত করে এনেছে। খাদ্যপণ্যের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানির এলসিও এখন খোলা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    ভবিষ্যতে অর্থনীতির ওপর চাপ আরো বেশি ঘনীভূত হবে বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি এরই মধ্যে চাপের মধ্যে রয়েছে। রিজার্ভের ক্ষয় অব্যাহত আছে। প্রতি মাসে ১ থেকে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের মতো রিজার্ভ কমছে। আমাদের প্রকৃত রিজার্ভ আইএমএফ যেটা বলছে সেটিই, ২৭ বা ২৮ বিলিয়ন ডলার। এ পরিমাণ রিজার্ভ থেকে আগামী চার-পাঁচ মাসে যদি আরো ৫ বিলিয়ন চলে যায়, তাহলে থাকে ২২ বা ২৩ বিলিয়ন ডলার। ওই সময় অবধারিতভাবে চাপ আরো ঘনীভূত হবে। এরই মধ্যে অনেক এলসি দায় ও বিদেশী ঋণ অপরিশোধিত আছে। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংক দায় পরিশোধ করতে পারছে না। সরকারের আরো অনেক ধরনের সার্ভিস পেমেন্টের বিষয় আছে। সবচেয়ে বেশি শঙ্কার কারণ রেমিট্যান্স। এটা যদি বর্তমান ধারায় থাকে, তাহলে বছরে ৬-৭ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি তৈরি হবে। রেমিট্যান্স কমাটা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
    বৈদেশিক মুদ্রা সংকট মেটাতে আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ। গত জুলাইয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আইএমএফকে দেয়া প্রস্তাব নিয়ে বর্তমানে দরকষাকষি চলছে। গত ২৬ অক্টোবর আইএমএফের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ১৫ দিনের সফরে বাংলাদেশ আসে। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংস্থাটির এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ। এরই মধ্যে প্রতিনিধি দলটি অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনসহ (বিইআরসি) সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে।

    আইএমএফ এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের হিসাবায়ন নিয়ে আপত্তি তুলেছে। সংস্থাটির বক্তব্য হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেখানো ৩৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বিনিয়োগকৃত প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার বাদ দিয়ে রিজার্ভের হিসাবায়ন করতে হবে। এছাড়া ব্যাংক খাতের সুশাসনের ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, ঋণ ও আমানতের সুদহার বেঁধে দেয়াসহ দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আইএমএফ। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা সম্পর্কেও সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চেয়েছে সংস্থাটি।

    এনবিআরকে করহার বাড়ানো এবং কর অব্যাহতির সুবিধা তুলে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে আইএমএফ। এজন্য করজাল বাড়িয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে করদাতাদের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে কর আহরণ এবং তামাক খাতে করহার আরো বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এছাড়া সক্ষমতা তৈরির জন্য এনবিআরকে সহায়তার প্রস্তাবও দিয়েছে আইএমএফ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভর্তুকির বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।

    ভর্তুকি বন্ধ করে দিলে বিপিডিবির উপায় কী, তাও জানতে চেয়েছেন আইএমএফের প্রতিনিধিরা। বিদ্যুৎ খাতে উৎপাদন খরচ ও বিক্রির মধ্যে ঘাটতি কমাতে মূল্য সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। এর পরিবর্তে বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া (ক্যাপাসিটি পেমেন্ট) হ্রাসের উপায়, বিপিডিবির আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব ও বিদ্যুতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছে সংস্থাটি।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের কিছু পণ্য আমদানিতে এখনো শুল্কহার বেশি। শুল্ক কাঠামোটিও ‘জটিল’। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের ট্যারিফ লাইনের যৌক্তিকীকরণ এবং কাঠামোর সহজীকরণ করতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে ট্যারিফ হার বেশি, যার গড় ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ। ডব্লিউটিওর হিসাব অনুযায়ী, তা ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা প্রয়োজন। তা না হলে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর বাংলাদেশের রফতানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

    বৈঠকে এ বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ও অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

    নিট পোশাক পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বণিক বার্তাকে বলেন, অর্থনীতি কীভাবে পরিচালিত হবে তা নির্ধারণ করবে সরকার। সরকার যেভাবে ভালো মনে করবে সেভাবেই পরিচালিত হবে। আইএমএফ যে শর্তগুলো দিচ্ছে, যেসব খবরদারি করছে, সেগুলো কেন করছে বোধগম্য নয়। সরকার দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে কোন খাতে ভর্তুকি রাখবে আর কোন খাতে রাখবে না, এ বিষয়ে আইএমএফের শর্তারোপ গ্রহণযোগ্য নয়। তবে আইএমএফের ঋণ কাজে লাগানোর সুযোগ ও প্রয়োজন আছে।

    Though trading on financial markets involves high risk, it can still generate extra income in case you apply the right approach. By choosing a reliable broker such as InstaForex you get access to the international financial markets and open your way towards financial independence. You can sign up here.


  2. Remove Your Thanks

    The Following 4 Users Say Thank You to SUROZ Islam For This Useful Post:

    Montu Zaman (2022-11-06), SaifulRahman (2022-11-06), Tofazzal Mia (2022-11-06), Unregistered (1)

+ Reply to Thread

Posting Permissions

  • You may not post new threads
  • You may not post replies
  • You may not post attachments
  • You may not edit your posts
Bangladesh Forex Forum – Presentation
You are welcome to the forum serving as a virtual salon for communication of traders of all levels. Forex is a dynamically developing financial market which is open 24 hours a day. Anyone can get access to this market via a brokerage company. On this forum you can discuss the numerous advantages of trading on the currency market and all aspects of online trading on MetaTrader4 or MetaTrader5 platforms.

Bangladesh Forex Forum – Trading discussions
Every forumite can join a discussion of various issues, including those related to Forex but not limited to. The forum has been designed for sharing opinions and helpful information and is open for both professionals and beginners. Mutual assistance and tolerance are highly appreciated. If you would like to share you experience with others or deepen your knowledge of trading craft, you are most welcome to the forum threads dedicated to trading discussions.

Bangladesh Forex Forum – Dialogue between brokers and traders (about brokers)
In order to be successful on Forex, it is crucial to choose a brokerage company with due diligence. Make sure you broker is really reliable! Thus you will be impervious to many risks and will make profitable trades on Forex. On the forum a rating of brokers is represented; it is based on comments left by their customers. Post your opinion about the brokerage company you work with, it will help other traders avoid mistakes and choose a good broker.

Unleashed communication on Bangladesh Forex Forum
On this forum you can talk about not only trading issues, but any other topics you like. Offtopping is allowed in a special thread too! Humour, philosophy, social problems or practical wisdom – converse about anything you are interested in, including forex trading if you like!

Bonuses for communication on Bangladesh Forex Forum
Those who post messages on the forum can receive money bonuses and use them for trading on an account of a forum sponsor. The forum is not meant for gaining profit; however forumites can get these small bonuses as reward for the time spent on the forum and sharing views on the currency market and trading.