যানজটের শহরে ঠিক সময়ে কোথাও পৌঁছানো যেন অবাস্তব এক সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তো নারী-পুরুষ সবাই ঝুঁকছেন দুই চাকার যানের প্রতি। বাইক বা স্কুটার থাকলে কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সহজ হবে। এছাড়াও পাহাড় কিংবা সমুদ্র যখনই ইচ্ছা ছুটে যেতে পারবেন বাইক নিয়ে।
বাইকপ্রেমীদের কাছে বাইক নিজের সন্তানের মতো। সারাক্ষণ শুধু বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ালেই হবে না নিয়মিত যত্নও নিতে হবে। নিয়মিত যদি বাইকের যত্ন নেন তাহলে দীর্ঘদিন পরও বাইক থাকবে নতুনের মতো চকচকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক দীঘদিন পর্যন্ত বাইক চকচকে নতুনের মতো করে রাখার কিছু টিপস- [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/529879736.jpg[/IMG]
>> বাইক নতুনের মতো রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বাড়িতে না পারলে সার্ভিসিং সেন্টার থেকে বাইক ধুয়ে পরিষ্কার করুন। ধুলা ময়লা, কাদা লেগে বাইকের ভেতরে এবং অবশ্যই বাইরের অংশ পুরোনো দেখায়। নিয়মিত বাইক ধুয়ে পরিষ্কার করলে এমনিতেই বাইক চকচক করবে।
>> বাড়িতে বাইক ধুতে চাইলে সপ্তাহে একদিন কাজটি করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ডিটারজেন্টের বদলে ওয়াশ জেল ব্যবহার করতে পারেন। বাইক ধোয়ার সময় নরম স্পঞ্জি ফোম ব্যবহার করুন। তাহলে বাইকের রঙের কোনো ক্ষতি হবে না। শক্ত কাপড় বা স্ক্রাব ব্যবহার করলে বাইকে স্ক্র্যাচ পড়ে যেতে পারে।
>> সবসময় বাইক ছায়াযুক্ত স্থানে পার্ক করুন। কড়া রোদে বাইকের চকচকে ভাব ম্লান হয়ে যায়। চাইলে ঢেকে রাখতে পারেন পার্কিংয়ের সময়। এছাড়াও সূর্যের অতি বেগুনিরশ্মিতে বাইকের শাইনিভাব রক্ষা করতে অ্যান্টি-ইউভি পালিশ ব্যবহার করতে পারেন।
>> বাইকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, টায়ার নিয়মিত পরিষ্কার করুন। বেশি পুরোনো হলে বদলে ফেলুন। এতে বাইকের লুক পরিবর্তন হবে এবং নতুন লাগবে।
>> বাইক যেমন রোদের ভেতর পার্ক করবেন না তেমনি অনেক বৃষ্টির ভেতরও বাইক পার্ক করবেন না। এতে বাইকের শাইনিং কমে যায়।
>> চেষ্টা করুন বাইকের কভার ব্যবহার করতে। এতে বাইকে ধুলা-বালি কম পড়বে। পরিষ্কার করতেও সুবিধা হবে। তবে খেয়াল রাখবেন বেশি শক্ত কভার ব্যবহার করা যাবে না। এতে কভারের ঘষায় বাইকের রং নষ্ট হতে পারে। স্ক্র্যাচও পড়তেও পারে বিভিন্ন জায়গায়।