ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো বা যুদ্ধের কারণে রাশিয়া নানাভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক এক খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে কমেছে গাড়ি বিক্রি। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলতি বছর দেশটিতে গাড়ি বিক্রি ১০ লাখ ইউনিটের নিচে নামতে পারে। এ পরিস্থিতিতে গাড়ির দামের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর রয়টার্স।

রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাভটোভাজের প্রধান ম্যাক্সিম সকোলভ বলেন, চলতি বছর গাড়ি বিক্রি কমেছে ৬০ শতাংশ। বছর শেষে যে হিসাব পাওয়া যাবে তা হয়তো এক দশক আগের এক প্রান্তিকের সমানও হবে না।

গাড়ি বিক্রিতে এ মন্দার কারণ হিসেবে বিদেশী গাড়ি নির্মাতা রেনোঁ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ রাশিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলও সীমিত হয়ে গিয়েছে। এ কারণে গাড়ি কেনার প্রতি আগ্রহ কমেছে গ্রাহকদের। তবে সবচেয়ে বড় কারণটি হলো, জীবনযাত্রার মান কমে যাওয়ার বিপরীতে গাড়ির উচ্চমূল্য। কারণ যুদ্ধ ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে গাড়ি তৈরির উপাদানের সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি এতটা খারাপ যে সবশেষে লাডা মডেলের গাড়ি এয়ার ব্যাগ ও অ্যান্টি লক ব্রেক ছাড়াই তৈরি করে বাজারজাত করতে হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ভ্লাদিমির পুতিন বুঝতে পেরেছেন যে পরিস্থিতি সহজ নয়। সে কারণে সাধারণ মানুষের জন্য সুলভ মূল্যের গাড়ি নির্মাণের ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে এটাও বলেছেন যে গাড়ির দাম অন্যায্যভাবে বাড়ানো হয়েছে।

বণিক বার্তা