যুক্তরাষ্ট্রে ডিজেল সংকট কমতে শুরু করেছে। শিথিল হচ্ছে হিটিং অয়েলের ঘাটতিও। ক্ষেত্রবিশেষে মজুদ বৃদ্ধির তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির কারণে রিফাইনারিগুলোয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। অন্যদিকে রফতানিতে আগ্রহ কমেছে। এসব বিষয় সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করছে। তাছাড়া আকাশচুম্বী দামের কারণে জ্বালানির ব্যবহারও কমতির দিকে। মার্কিন এনার্জি অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ের (ইআইএ) একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ অক্টোবর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সাত সপ্তাহে ডিজেলসহ ডিসটিলেট জ্বালানির মজুদ ৩০ লাখ ব্যারেল করে বেড়েছে। বৃদ্ধির হার অত্যন্ত কম হলেও তা বর্তমান নিম্নমুখী ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে মজুদ পরিস্থিতিকে সহায়তা করছে।

বছরের এ সময় স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে ডিজেলের মজুদ কমে যায়। তার ওপর বাজার পরিস্থিতি মজুদে আরো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ইআইএর তথ্যানুযায়ী, মহামারী শুরুর আগে ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ডিসটিলেট জ্বালানির মজুদ বছরের এ সময়ের গড় ১ কোটি ১০ লাখ ব্যারেলের বেশি হারে কমেছিল। কিন্তু চলতি বছর মজুদ স্থিতিশীল, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ২০০৮ সালের পর বছরের এ সময় প্রথমবারের মতো ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে।

বণিক বার্তা