নতুন করে আবারো বিভিন্ন শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। স্থবিরতা তৈরি হচ্ছে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি চাহিদা কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে রফতানিনির্ভর দেশগুলোয় অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থায় চীনের শিল্প খাতের মুনাফায় পতন আরো ত্বরান্বিত হয়েছে। আবাসন খাতের সংকটও কারখানা কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সব মিলিয়ে চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কিছু বিশ্লেষক। খবর রয়টার্স।

গতকাল প্রকাশিত ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের (এনবিএস) তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে চীনের শিল্প মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ শতাংশ কমেছে। যেখানে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে মুনাফা কমার হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রথম আট মাসে যা ছিল ২ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চীনা অর্থনীতির শিল্প খাত খাদের দিকে যাচ্ছে। মূল কার্যক্রম থেকে বার্ষিক ২ কোটি ইউয়ানের বেশি আয় করা প্রতিষ্ঠানগুলো এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চীনের ৪১টি প্রধান শিল্প খাতের মধ্যে ২২টির মুনাফা কমেছে। কভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে নাগরিকদের ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ও বিচ্ছিন্ন করার জন্য চীনের জিরো কভিড নীতি দেশটির অর্থনীতি ও উৎপাদন খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বৈশ্বিক চাহিদা দুর্বল হওয়ার লক্ষণগুলো রফতানিমুখী নির্মাতাদের ওপর আরো বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এনবিএস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে পুনরায় কভিড প্রাদুর্ভাব বাড়ছে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এতে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আরো চাপের সম্মুখীন হচ্ছে।

বণিক বার্তা