ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোয় গ্যাসের দাম আকাশচুম্বী। সরবরাহ সংকট নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না কোনোভাবেই। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার মধ্যে নতুন সরবরাহ নিশ্চিত না করা গেলে আগামী কয়েক বছরেও অঞ্চলটির জ্বালানি সমস্যা সমাধান হবে না। এ শিল্প খাতের নির্বাহী ও কৌশলীদের মতামতের ভিত্তিতে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, ইউরোপের দেশগুলো যদি চলতি শীতকে কেন্দ্র করে গ্যাসের মজুদ পরিপূর্ণ করতে সক্ষম হয়, তবু সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যাবে। কারণ আগামী গ্রীষ্ম ও পরের শীতের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে কিনা, তার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না খাতসংশ্লিষ্টরা।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ইইউর দেশগুলো মজুদ কেন্দ্রগুলোয় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মজুদ পরিপূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এরই মধ্যে হিটিংয়ের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। এমন সময় হিটিং চাহিদা বাড়ছে, যখন পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে সরবরাহ কমেছে। ভিটোলের এশিয়া অঞ্চলের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বিভাগের প্রধান সিড বেম্বাউলে বলেন, বর্তমানে আমরা গ্যাস সংকটের মধ্যে রয়েছি। আর আগামী দুই-তিন বছর পর্যন্ত আমাদের কমবেশি এ সংকটের মোকাবেলা করতে হবে। সংকট নিয়ে ভুল তথ্য না ছাড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে ব্যাপকভাবে গ্যাসের চাহিদা ও ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত সরবরাহ উেসর অনুসন্ধানও জরুরি হয়ে পড়েছে। ভিটোলের প্রধান নির্বাহী রাসেল হার্ডির মতে, শিল্প খাতে জ্বালানিটির চাহিদা দমিয়ে রাখতে হলে গ্রীষ্ম মৌসুমজুড়ে দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকা প্রয়োজন। আর এ সময়ের মধ্যে মজুদ আবারো পরিপূর্ণ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। যুদ্ধের আগে রাশিয়া ছিল ইউরোপের সবচেয়ে বড় জ্বালানি সরবরাহকারী। কিন্তু রাশিয়ার ওপর বেশ কয়েক ধাপে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্লকটিকে ভয়াবহ জ্বালানি সংকটের মধ্যে পড়তে হয়। বিশেষ করে জুলাইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশে সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় সরবরাহ সংকট নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। তার ওপর নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমও সরবরাহ ধারাকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1099890689.jpg[/IMG]